বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর লাখো মানুষ বিদেশে পড়ি জমায় একটু ভালো থাকার জন্য। দেশ ছেড়ে প্রবাসী হয়ে তারা অকাতরে কাজ করে যায় দেশের জন্য। আর তাদের পাঠানো রেমিটেন্সে বাংলাদেশ দেখে নতুন করে স্বপ্ন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে ভর করেই দাড়িয়ে থাকে দেশের সিংহভাগ অর্থনিতী। বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশের অর্থনীতির চাকায় ধীর গতি থাকলেও গতিশীল রয়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

আরো পড়ুন

Error: No articles to display

চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনেই প্রায় ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

করোনার ধাক্কায় বিশ্বের অর্থনীতি হোঁচট খাওয়ায় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিককে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে। অনেকে ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন। ফলে গত এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স কমেছিল।

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। ধারণা করা হয়েছিল প্রবাসী আয় কমে যেতে পারে। কিন্তু মে মাস থেকেই তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

এরপর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৬০ কোটি ডলার, যা ছিল একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। তার আগে জুনে মাসে এসেছিল ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর আগস্ট মাসে ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছে। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তারা। দেশের জিডিপিতে তাদের পাঠানো এই রেমিট্যান্সের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনে ৯২ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

কিন্তু গত বছরের এই ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ৫৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

এই রেমিট্যান্সে ভর করেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা তার আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি।


এ দিকে বিশ্বব্যাপি এখনো চলছে করোনার ব্যপক তান্ডব। আর এই করোনার তান্ডব থেকে রক্ষা পেতে সারা বিশ্বে এক নাগাড়ে চলে থাকে লকডাউন। যার ফলে বিশ্বের অর্থনিতী হয়ে পড়ে ব্যপক দুর্বল। তার পরেও বাংলাদেশের মত একটি ছোট অর্থনিতীর দেশকে বাচিয়ে রেখেছে প্রবাসীদের পাঠানো এই সব মোটা অংকের রেমিটেন্স।যার উপর ভর করে এখনো টিকে আছে দেশের অর্থনিতী।

News Page Below Ad

আরো পড়ুন

Error: No articles to display