সম্প্রতি বিশ্বের দূর্নীতিগ্রস্থ দেশ গুলোর তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ১৪৭ তম অবস্থানে। বাংলাদেশের এই অবস্থান নিয়ে এক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে অস্বন্তোষ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের (Awami League) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী (Begum Matia Chowdhury)। এমনকি তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন বেশ কিছু কথা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা মন্তব্য করেছেন যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) (TI) যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুর্নীতির সূচকের ধারণা তৈরি করে তা স্বচ্ছ নয়। তাদের মতে, টিআইএ রিপোর্টে দেশের প্রকৃত চিত্র আঁকা হয়নি। ফলে সরকারের কাছে প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, যাদের নিজস্ব কর্মকাণ্ড স্বচ্ছ নয়, তাদের প্রতিবেদন নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার বা এদেশের মানুষ চিন্তিত নয়।
তাদের সূচকে আমাদের অবস্থান কী, শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশ পরিচালনায় কোনো বাধা থাকবে না। দেশে দুর্নীতি নিয়ে টিআইবির হতাশা প্রসঙ্গে মতিয়া চৌধুরী বলেন, “তারা হতাশার দলে থাকুক। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে আশার বাতিঘর হিসেবে দেখছে। সেই বাতিঘরকে লক্ষ্য করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তারা অন্ধকার ভবিষ্যত দেখছে। বাংলাদেশ তাদের কাল্পনিক জগতে। এটা তাদের চিন্তার বিষয়। এতে এদেশের মানুষের কিছু করার নেই।দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।দেশের উন্নয়ন হয়নি,অর্থনৈতিক সূচক এগোচ্ছে না,এটাও বড় কিছু নয়। শত্রু, তাদের কথা বলতে দিন। আমি মনে করি না সরকার বা জনগণের তাদের নিয়ে এত সময় ব্যয় করার সময় আছে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ডেশের মধ্যে থাকা সকল ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধের জন্য গ্রহন করেছেন নানা ধরনের পদক্ষেপ। এমনকি বিশেষ করে মাদক ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে ঘোষনা করেছেন জিরো ট্রলারেন্স নীতি। এবং এক্ষেত্রে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা।