তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে জাবির এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও লাঞ্ছনার অভিযোগে রীতিমতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jahangirnagar University) পুরো ক্যাম্পাস-জুড়ে (Campus) শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। তবে ইতিমধ্যে জানা গেল, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঐ দুই ছাত্রীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার (Two students expelled) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jahangirnagar University) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বিনতে ইকরামকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। তার সহকর্মী আনিকা তাবাসসুম মিমকেও ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুচ্ছ ঘটনায় বহিষ্কৃত সুমাইয়া (Sumaiya) বিনতে ইকরামের বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। ক্যাম্পাসের বটতলায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী তানিয়া আক্তার জানায়, রাত ৮টার দিকে রাস্তায় সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে সুমাইয়া বিনতে ইকরাম ও তার বান্ধবী আনিকা তাবাসসুম মিম ঐ ছাত্রকে লাঞ্ছিত করে। অন্য পথচারীরা বাধা দিতে গেলে সুমাইয়া বিনতে ইকরাম তাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করেন। (Anika Tabassum Mim)
ঘটনার একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে একটি রেস্তোরাঁর সামনে সুমাইয়া বিনতে ইকরামের ছেলেবন্ধুর সাথে কথা বলার সময় হঠাৎ সুমাইয়া ভিকটিমকে কয়েক দফা চড় মারেন। এ ঘটনায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয় অন্য শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উভয় পক্ষই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য জমা দেন। শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। আজ বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে অভিযুক্তকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়, যা পার্বতীতে সিন্ডিকেট সভায় পাস হয়।
এদিকে গণমাধ্যমকে ঐ ছাত্রীর বহিষ্কারের তথ্য নিশ্চিত করে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ হানিফ আলী জানিয়েছেন, ছাত্র লাঞ্ছনার ঘটনায় সুমাইয়াকে ১ বছর অপরজনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।(Social media) আর এ সময়ের মধ্যে কলেজ থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। এছাড়াও তারা পরীক্ষায় (exam) অংশ নিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।