বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও ফটিকছড়ির সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির আমন্ত্রণে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এসেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। এসময় তিনি নিজ হাতে পিরের রওজায় গিলাফ পরিয়ে দেন। সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভান্ডারির ১০৩তম খোশরোজ শরিফ উপলক্ষে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে শফিউল বশর মাইজভান্ডারির রওজায় গিলাফ দেন তিনি।
এর আগে সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির সঙ্গে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন হাইকমিশনার। এ সময় ফটিকছড়ির সাংসদ ও তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, সহকারী হাইকমিশনার রাজিব রঞ্জন, সেকেন্ড হাইকমিশনার অজুত ঝা, সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারি উপস্থিত ছিলেন।
রওজায় গিলাফ পরানোর পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ভারতীয় হাইকমিশনার। তিনি বলেন, ‘ফটিকছড়ির রামগড় সীমান্তবর্তী স্থলবন্দর চালু হলে দুই দেশের অর্থনীতির পরিসর আরও ব্যাপকভাবে বাড়বে।’ হাইকমিশনার বলেন, ‘ভারত সব সময় বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সচেষ্ট। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভান্ডারির রওজা শরিফে গিলাফ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, স্বাধীন ও সার্রভৌম রাষ্ট্রের প্রতি সম্মানপ্রদর্শন-পূর্বক আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় আখ্যা দিয়ে সবধরণের হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার।