বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা পরিকল্পনা করে থাকেন অনেকেই। আর সেই ধারাবাহিকতায় হেলিকপ্টারে (Helicopter) চড়ে কনের বাড়িতে অনেক শখ ছিল ইমরান হোসেনের (Imran Hossain)। সেই সূত্র ধরে দেশে চলমান এ সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে স্বল্প পরিসরে হলেও নিজের সেই শখ পূরণ করেছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে দিনাজপুরের (Dinajpur) বিরামপুর সরকারি কলেজে উৎসুক জনতার মাঝে হেলিকপ্টার (Helicopter) থেকে নামতে দেখা যায় তাকে।
মাথায় লম্বা মুকুট ও শরীরে শেরওয়ানি পরা চার যাত্রী নিয়ে হেলিকপ্টার (Helicopter) থেকে নেমে আসেন তিনি। পরে একটি প্রাইভেট কারে বিয়ের মঞ্চে যান বর। কানেপক্ষের দাবি, মহামারীর কারণে স্বল্প পরিসরে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরের নাম ইমরান হোসেন। তিনি রাজশাহীর (Rajshahi) পুঠিয়া উপজেলার ইসমাইল হোসেনের (Ismail Hossain) ছেলে। পেশায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। কনে ইফফাত জাহান বিরামপুর উপজেলার শিমলতলী এলাকার মিজানুর রহমানের মেয়ে।
কনের বাবা মিজানুর রহমান (Mizanur Rahman) বলেন, “বিশ্বে দিন দিন মহামারী বাড়ছে। সরকার নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সেজন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ছোট বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৪টার মধ্যে আবার হেলিকপ্টারে করে রওনা হবে। .’
হেলিকপ্টারে করে বিয়েতে আসায় বিষয়ে জানতে চাইলে বর ইমরান হোসেন বলেন, “এটা আসলে শখের বিষয় ছিল। তাছাড়া দেশের পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়। দিন দিন সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে আমি এখানে এসেছি। শখ আর দায়িত্ববোধ দুটো জিনিস থেকে হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে।’
বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ জানান, বিয়ে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসায় রীতিমতো চমকে যান সবাই। বিশেষ করে, অনেক কাছ থেকে হেলিকপ্টার (Helicopter দেখার ইচ্ছা অনেকেরই, আর এর মধ্যে দিয়ে তাদের সেই ইচ্ছাও পূরণ হয়েছে। এমনকি জামাই ইমরান হোসেনের এমন কর্মকাণ্ডে বেশ খুশি হয়েছেন শ্বশুর বাড়ির লোকজনও।