ইভিএম (EVM) এর মাধ্যমে দেশের বেশ কিছু অঞ্বলে নির্বাচন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইভিএম এর পূর্ননাম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন। তবে এই মেশিনের মধ্যে দিয়ে ভোট গ্রহন নিয়ে নানা ধরনের তর্ক-বির্তক রয়েছে। এমনকি রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। তবে এই সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের প্রধান কে এম নূরুল হুদা (KM Nurul Huda)। এবং তিনি জানিয়েছেন আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অর্ধেক আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহন হবে। এবং এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন তিনি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্ধেক আসনে ইলেক্টোরাল ভোটিং মেশিন (ইভিএম) (EVM) ভোটিং সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) (CEC) কে এম নুরুল হুদা। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডি আয়োজিত ‘রেড টক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ইসির সংশ্লিষ্ট শাখা সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে কাউন্টার সেন্টারে তিনটি ভোটকেন্দ্র থাকলেও ১ লাখ ২০ হাজার ইভিএম প্রয়োজন। আর ব্যাকআপ হিসেবে ৮০ হাজারের বেশি ইভিএম প্রয়োজন। তাই ৩০০ আসনে পর্যাপ্ত ইভিএম নেই। আলোচনা সভায় কে এম নুরুল হুদা বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন একটি ভালো জিনিস। আমাদের এখন সামর্থ্য আছে, দেড়শ আসনে আগামী নির্বাচন করা সম্ভব। জনবল ও মেশিন দুটোই আছে। প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে। আমরা সেই সামর্থ্য রেখে যাচ্ছি। সমস্যা নেই। তবে সব আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়া সম্ভব নয়। এই ইভিএম অনেক ভালো।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে দেশে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিন ব্যবহার শুরু করে তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদার (ATM Shamsul Huda) নেতৃত্বাধীন কমিশন। সে সময় বুয়েট (BUET) থেকে ১২ হাজার টাকায় মেশিন তৈরি করেছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission) (ইসি)। ২০১৫ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনের সময় একটি মেশিনে ত্রুটি ধরা পড়লে ইসি মেশিনটি বাতিল করে। এরপর বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাজ থেকে তৈরি দুই লাখ টাকা মূল্যের উন্নত মেশিন বর্তমানে ব্যবহার করছে ইসি।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা কমিশনারদের মেয়াদকাল শেষ পর্যায়ে। এরই সুবাদে নতুন কমিশন গঠনে কাজ করছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এমনকি আজ জাতীয় সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন পাশ হয়েছে। তবে এই আইনে এবারের কমিশন গঠন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সরকারের দলীয়রা।