ইভ্যালিকে (evaly) নিয়ে আলোচনা-সমালোচনবার শেষ নেই। দীর্ঘ দিন ধরে এই অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি নানা ভাবে প্রতারনা করে আসছিল। এবং নানা কৌশলে প্রতিষ্ঠানটি হাতিয়ে নিয়েছে গ্রাহকদের বিপুল পরিমানের অর্থ। তবে বর্তমান সময়ে আদালতের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটির অর্ন্তবর্তীকালীন ভযবে বেশ কয়েক জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবং তারা দায়িত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষন করছেন। আজ এই নতুন কমিটি প্রতিষ্ঠানটির একটি লকার ভেঙ্গেছে। এবং এতে বিপুল পরিমানের চেক বই পেয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত বললনে বর্তমান সময়ে ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও হাইকোর্টের (High Court) সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক (HM Shamsuddin Chowdhury Manik) বলেন, ইভালির দুটি লকার কেটে বেশ কিছু চেক বই পাওয়া গেছে। এটা তাদের ব্যবসায়িক নীতি হতে পারে। গ্রেফতার হওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এবং গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই বিপুল সংখ্যক চেক লকারে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা তার। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডি ইভলির হেড অফিসে অভিযানকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, টাকা ফেরত পেতে তারা অনেককে চেক দিয়েছেন। বিপুল পরিমাণ চেক থাকায় তারা লকারটিকে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নেয়। হয়তো এ কারণেই তারা চেকগুলো সেখানে রেখেছিল। প্রধান কার্যালয়ের চতুর্থ তলা থেকে দুটি ব্যাঙ্কের চেক পাওয়া যায় এবং আমরা কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাই। তিনি যোগ করেছেন, “আমি নিচতলায় আরেকটি লকার থেকে ২,৫৩০ টাকা এবং বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের চেক পেয়েছি।” অনেক চেকে স্বাক্ষরও আছে। যাইহোক, আমরা যে চেকগুলি উদ্ধার করেছি তার কোনোটিরই বৈধতা নেই। এর আগে হাইকোর্ট এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
চেক পাওয়ার পর হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম মূল্যবান জিনিসপত্র বা টাকা থাকতে পারে। এর আগে কমিটির সদস্যরা রাসেলের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, লকারে টাকা থাকতে পারে। কিন্তু লকারে টাকা থাকতে পারে। কাট। ” যেহেতু লকার কাটার পরে শুধুমাত্র চেকের পাতা আছে, তাই আমরা ধরে নিচ্ছি বাড়ির মালিক মূল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন। এছাড়াও অনেক খাম স্ট্যাপল ছিল. ওই খামগুলো ছেঁড়া পাওয়া গেছে। আমরা ভেবেছিলাম টাকা আছে। ‘
স্বল্প সময়ে প্রতিষ্ঠানটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসে। এবং দেশ জুড়ে ব্যপক বিস্তার ঘটাতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমান সময়ে অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মহা ব্যবস্থাপক এবং চেয়ারম্যান। এবং প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় সম্পদের হিসাব পর্যালোচনা করে গ্রাহকদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে আদালতের নির্দেশনায় দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।