সম্প্রতি র্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই আলোচনা সমালোচনা লেগেই আছে। এবার র্যাবের নিষেধাজ্ঞা(Rab ban) নিয়ে মুখ খুললেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে এবার কথা বললো ইইউ রাষ্ট্রদূত(EU Ambassador)।এসব প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলার সময় তিনি আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। কথা বলেন রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সাথে বাংলাদেশের নানা উন্নয়নমুলক কাজ নিয়ে।
ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি(Charles Whiteley) বলেন, জাতিসংঘ(United Nations) শান্তিরক্ষা মিশন থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (Rapid Action Battalion) (র্যাব) বাদ দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন(European Union) (ইইউ) পার্লামেন্টের সদস্য ইভান স্টেফানেকের চিঠিটি(Letter) সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত চিঠি। ইইউ এর সাথে কিছু করার নেই।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স(Meet the Reporters)’ অনুষ্ঠানে ইইউ রাষ্ট্রদূত(EU Ambassador) এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, র্যাবের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। তাই র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা(US sanctions) নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে তাদের সংখ্যা এহুদ ওলমার্টকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট নয়।
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে হুইটলি(Whitley) বলেন, “বাংলাদেশে ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক আগ্রহ রয়েছে। আমরা প্রতিটি নির্বাচনকেন্দ্রিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছি। সেটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য যা করছে তা সত্যিই অকল্পনীয়। আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে(Rohingya issue) অনেক কাজ করেছি, এবং এখনো করে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ(Bangladesh) অনুন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে চলে গেছে। অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে। ইইউ বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। ইইউর সাথে বাংলাদেশের বেশিরভাগ সম্পর্ক বাণিজ্যিক। একই সাথে, সেখানে বেশ কিছু জলবায়ু(Climate) পরিবর্তন মোকাবেলায় চুক্তি(Agreement)।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির(Dhaka Reporters Unity) (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবসহ(Nurul Islam Hasib) ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যদি এটা ব্যাক্তিগত ইস্যুই হয় তাহলে হয়ত এটা গুরুতর কোন সমস্যা তৈরি করবেনা। তবে মনে রোয়ে গেছে এখনো শংসয়। কি করলে উঠবে এই নিষেধাজ্ঞা এ নিয়ে চলছে এখনো টানাপোড়া। তবে এখনও মেলেনি কোন সমাধান।