কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্য়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত অনুসন্ধান কমিটি তৈরী হয় গত ৫ ফেব্রুয়ারী। নতুন কমিশনের জন্য় রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাবের আগে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনার বছাইয়ের জন্য একটি চুড়ান্ত বৈঠকের আয়োজন করা হয়। পক্ষপাতশূন্য প্রধান নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনার বহাইয়ের জন্য সকল পর্যায়ের বিশিষ্ট নাগরিকের মতামত নিয়েছেন অনুসন্ধান কমিটি। রোববার বিকেল ৪টায় সুপ্রিম কোর্টের সম্মেলন কক্ষে তৃতীয় ও শেষ বৈঠক শুরু হয়। এই বৈঠকে বিশিষ্ট লেখক এবং সাংবাদিক জনাব শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘পক্ষপাতশূন্য ব্যাক্তি বর্তমানে পাওয়া অনেক কঠিন তাই সৎ এবং নিষ্ঠাবান ব্যাক্তি খুজে বের করতে হবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামত চাচ্ছে তদন্ত কমিটি। এর আগে আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্য়ক্তির সাথে বৈঠকে বসেছিলো এই কমিটি।
বৈঠক শেষে লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ না খুঁজে সৎ ও সাহসী লোকদের খুঁজতে বলেছি। যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করবে তারা প্রধানমন্ত্রীকেও বিচারের আওতায় আনতে পারবে। তাকে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে।’
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ‘আমি সার্চ কমিটির সভায় বলেছি, সাহসী ও সৎ লোকের সন্ধান করতে হবে। সময় লাগলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলতে বলেছি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটিতে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেছি। আমাদের নামের তালিকায় নারী ও সংখ্যালঘুদের নামও রয়েছে।’
সার্চ কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গোলাম কুদ্দুছ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জেড. আহির, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি নুরুল আলম, গীতিকার ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ, প্রজন্ম-৭১ এর আসিফ মুনীর, ড.নুজহাত চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অর্থনীতিবিদ ড. তোফায়েল আহমেদ।
এসময় শাহরিয়ার কবীরের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন জানান, পক্ষপাতশূন্য লোক খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব তবে সৎ, নিষ্ঠাবান ও সাহসী ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি তিনিও কমিশনে নারী ও সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের উপস্থিতির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।