দেশের নির্বাচন (Election) কার্যক্রম পরিচালানা করে থাকে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এই কমিশনের দায়িত্ব প্রায় শেষের পথে। এরই মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। এমনকি নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন বিষয়ে জাতীয় সংসদে বিষয়টি উথাপিত হয়েছে। আজ জাতীয় সংসদে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েও বেশ কিছু কথা বললেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, দক্ষ কারিগরি জনবলের অভাব ও সময়ের অভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) (NID) কিছু ত্রুটি ছিল এবং বেশির ভাগের বানান ভুল ছিল। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর (MP Shamim Haider Patwari) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এবং নাগরিকদের বায়োমেট্রিক্স সংগ্রহ করে সশস্ত্র বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতায় ২০০৬-০৭ সালে একটি জাতীয় ভোটার ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনকে আইন ও বিধি মোতাবেক বিভিন্ন পর্যায়ে জাতীয় তথ্যভাণ্ডারে পরিলক্ষিত ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হলেও নানা কারণে অনেকেই সময়মতো সুযোগ নেয়নি। বর্তমানে দেশের নাগরিকরা সচেতন হওয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে ত্রুটির সংখ্যা তুলনামূলক কম। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সব ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে ভোটার নিবন্ধন ফরম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। দেখা গেছে এনআইডি সঠিকভাবে প্রিন্ট করা হয়েছে। অন্যদিকে, সংশোধনের জন্য প্রাপ্ত আবেদনের অধিকাংশই সংশোধনের দাবি অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত নয়। এই আবেদনগুলি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, যথাযথ প্রমাণপত্র জমা সহ বিশেষ তদন্ত/পুনঃতদন্ত প্রয়োজন। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি প্রক্রিয়া করতে একটু বেশি সময় নেয়।
Services.nidw.gov.bd একটি অত্যাধুনিক অনলাইন কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে যেখানে বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচনী কর্মকর্তারা জড়িত। অফলাইন ব্যবস্থাও চালু রয়েছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, অনলাইন ব্যবস্থা চালুর ফলে আবেদনকারী ঘরে বসেই তার এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন। আপনি আবেদনের অবস্থা ট্র্যাক করতে পারেন। (NID) সংশোধনের আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর, সংশোধিত কার্ডটি অনলাইনে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করা যাবে। আবেদনকারী শারীরিকভাবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে গেলেও আবেদন গৃহীত হয়। আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবাকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না রেখে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। এনআইডি উইংয়ের কর্মকর্তা ছাড়াও মাঠ নির্বাচন অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও আবেদনের ধরন অনুযায়ী আবেদন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এনআইডি ডাটাবেজ আপগ্রেড করায় নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এনআইডি সেবা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে থানা/উপজেলা নির্বাচন অফিসে সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তাসহ রাজস্ব ক্ষেত্রে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের একটি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রশ্নোত্তর পর্বে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী (Speaker Shirin Sharmin Chowdhury) ।
বিশ্বে বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার প্রযুক্তি সপন্ন করে গড়ে তুলতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। এমনকি ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশের সকল নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে দেশের অধিকাংশ মানুষ ডিজিটাল পরিচয় পত্র পেয়েছেন।
to buy viagra viagra online
buying viagra ireland buy viagra
buy viagra without https://reallygoodemails.com/onlineviagra