তথ্য় ও যোগাযোগ প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের ফলে সকল শ্রেণী, পেশার মানুষের জীবনেই এসেছে পরিবর্তন। এই পরিবর্তন থেকে এমনকি পিছিয়ে নেই ভিক্ষাবৃত্তি করা মানুষও। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আবির্ভাবে নগদ টাকার পরিমাণ কমে যাওয়ার সাথে সাথে ভিক্ষার অর্থের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ভিক্ষা গ্রহণের জন্যও এখন ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিকতম মাধ্যম!
সাধারণত ভিক্ষুকরা যখনই কাউকে পাশ দিয়ে যেতে দেখে তাঁর কাছে ভিক্ষা করতে চায়। আবার অনেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করে। কেউ দেয়, কেউ দেয় না। আবার দিতে চাইলেও খুচরা টাকার অভাবে অনেকেই ভিক্ষা করতে পারে না। কিন্তু এবার যুগ পাল্টেছে। এবার পকেটে খুচরা না থাকলেও ভিক্ষা দেওয়া যায়। আর তা অনলাইনে দেওয়া যাবে। কারণ ভিক্ষুকদের কাছে এখন ভিক্ষার টাকা নেওয়ার জন্য নগদ অর্থ ছাড়া অন্য বিকল্প রয়েছে।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল অর্থ ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে ভারত। দেশটির ২০২২-২৩ সালের বাজেট অধীবেশনে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী নিরমালা সিতারামান। নতুন এই মুদ্রা ব্যবস্থায় ভিক্ষা করছেন দেশটির বিহার রাজ্যের বেত্তিয়া রেলস্টেশনের এক ভিক্ষুক। বিহারের বেত্তিয়া জেলার বাসিন্দা রাজু প্যাটেল একজন ভিক্ষুক, তবে অনলাইনে অর্থ গ্রহণ করেন। স্টেশনে ভিক্ষা করা রাজুর কাছে একটি স্মার্টফোন এবং একটি ফোন পে-অ্যাপ রয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি ভিক্ষা নেন। কাউকে দেখা মাত্রই গলায় ঝোলানো কিউআর কোড প্রিন্ট করা বোর্ড ধরিয়ে দেন। যা স্ক্য়ান করার মাধ্য়মে সহজেই তার অ্য়াকাউন্টে রুপি ট্রান্সফার হয়ে যাচ্ছে সহজেই। অনলাইন ভিক্ষার বিষয়ে রাজুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি অনলাইনে পেমেন্ট নিই। ভিক্ষা করে যা পাই তাতেই দিন যায়। পেট ভরে যায়।”
এদিকে রাজু প্যাটেল যখন ডিজিটাল মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি করছেন তখন ব্লকচেইন ও অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্হা প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)।