বিগত বেশকিছু দিন ধরেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে (Election of Bangladesh Film Artists Association) কেন্দ্র করে প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা যায় ঢাকাই চলচ্চিত্র জগতের এক ঝাক শিল্পীদের। আর এরই মধ্যে গতকাল (২৮ জানুয়ারি) শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনিষ্ঠিত হলেও ফল ঘোষণা করা হয় আজ শনিবার (২৯ জানুয়ারি)। আর এ নির্বাচনের ফল প্রকাশ যেন জায়েদ খানের জন্য একটি চমক হয়ে দাড়ায়। জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান (ayed Khan)। এবং সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। (Elias Kanchan)
এবারের নির্বাচনে অংশ নেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির (Dighi) বাবা অভিনেতা সুব্রত (Subrata)। তিনি মিশা-জায়েদ প্যানেল (Misha-Zayed) থেকে সহ-সম্পাদক হিসেবে লড়েছিলেন। তবে নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখেননি তিনি। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সুব্রত পেয়েছেন ১২৭ ভোট। সুব্রতকে হারিয়ে দিয়েছেন এ প্রজন্মের নায়ক সাইমন সাদিক (Simon Sadiq)। তিনি কাঞ্চন-নিপুন প্যানেল থেকে অংশ নিয়ে ২১২ ভোট পেয়ে জয়ী হন।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) এফডিসিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এই প্রথম দিঘী ভোট দিয়েছেন। যদিও ছোটবেলা থেকেই সিনেমায় কাজ করছেন তিনি। তবে বাবার পরামর্শে অতীতে ভোটার হননি। কিন্তু দিঘীর বাবা প্রথম নির্বাচনে হেরে যান।
নির্বাচনের দিন দিঘী (Dighi) বলেন, “এবার একটু বেশি টেনশন কাজ করেছে। প্রতিবারই এই টেনশন হয়। এখন কেন জানি দায়িত্বের বাইরে একটু বেশি টেনশন কাজ করেছে। জয়-পরাজয় তো হবেই। বাবাকে কখনো হারতে দেখিনি। হয়তো বা খুব সামান্য ব্যাপার। এটা একবার বা দুবার হয়েছে। বাবা না আসলে যে আসবে, তার কাছে আমি এতটুকু প্রত্যাশা রাখি, সে যাতে বাবার মতোই থাকে।’
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ‘কাবুলিওয়ালা’ সিনেমায় শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রথমবারের মতো পা রাখেন দীঘি। তবে পরবর্তীতে ২০২১ সালে ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমায় প্রাপ্ত বয়স্ক অভিনেত্রী বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।