গেল বেশ কিছু দিন আগে নারায়ণগঞ্জের সজিব গ্রুপ নামের একটি কারখানায় ঘটে যায় অগ্নিকান্ড। আর এই অগ্নিকান্ডে ঘটে যায় বড় ধরনের একটি ট্রাজেডি। সেখানে এক সাথেই পুরে মারা যায় ৪৯ জন।চারদিকে লা;শের পো;ড়া; গ;ন্ধ! নি;হ;ত স্বজন;দের আহাজা;রিতে ভা;রি হয়ে উঠে;ছে ঢাকা মে;ডিকেল কলেজের ম’র্গের চৌহদ্দি। এ পোড়া গন্ধ কিছুক্ষণ আগেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের অ’গ্নিকাণ্ডেে নি;হ;ত ৪৯টি লা;শ থেকে ভেসে আসছিল।সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় বৃহস্পতিবারের ভ;য়াবহ অগ্নি;কাণ্ডের ধ্বং;সস্তূপ থেকে লা;শ উ’দ্ধার করে শুক্রবার বিকেলে ম;র্গে আনা হয়।

আরো পড়ুন

Error: No articles to display


ঢা’মেক ম’র্গে কো’নো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে লা;শ নিয়ে আসার আগে থেকে দুই প্লাটুন পুলিশ মোতা’য়েন করা হয়।; ’ম’রদে’হের সু’রতহাল রিপোর্ট যেখানে করা হয় সেখানে কেউবা বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। নারায়ণগঞ্জ জে’লার পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত জে’লা প্রশাসকও ছুটে আসেন।

চারদিকে আহাজারি, হৈচৈ ও হট্টগোল পরিবেশের মধ্যে বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে এ প্রতিবেদকের চোখ পড়ে ম’র্গের চৌহদ্দিতে সু’রতহাল কক্ষের লম্বা বেঞ্চিতে বসে নামাজরত একজন পুলিশ সদস্যদের দিকে। ৩০ জন পুলিশ সদস্য সেখানে বসে থাকলেও কারও মুখে কোনো কথা নেই, সবাই চু’পচা’প বসে আছে। নামাজ শেষ করেই ওই পুলিশ সদস্য মোবাইল ফোনের অ’পর প্রান্তে’ থাকা কারও কাছে রূপগ’ঞ্জের ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলেন ও কিছু দিকনির্দেশনা দিলেন।

একটু ভালো করে খেয়াল করতেই তার পোশাক ও র্যাংক ব্যাচ দেখে বোঝা গেল তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদমর্যাদার (ওসি)। একটু সামনে গিয়ে এ প্রতিবেদক নিজের পরিচয় দিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলেন। এহেন পরিস্থিতিতেও নামাজরত অবস্থায় তাকে দেখে ভালো লাগলো এ কথা বলতেই তিনি কিছুটা ’বিব্রত’ হলেন। জানালেন তিনি রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ত’দন্ত), নাম হুমায়ুন আহমেদ। অগ্নি;কা;ণ্ডের কারণে গতকাল থেকে ব্য;স্ত সময় কা’টাচ্ছেন।

আলাপকালে তিনি জানান, পুলিশের চাকরি করি, কখন কোথায় যাই তার কোনো ঠিক ঠিকানা নাই। সব সময় ব্যস্ত থাকতে হয় বলে বাসায় গিয়ে নামাজ পড়ার সময় হয় না। তাই ডিউটিরত কিংবা অন্যকোনো কাজে যেখানেই থাকেন না কেন, ওয়াক্ত হলে সেখানেই নামাজ পড়ে নেন। কথা প্রসঙ্গে হুমায়ুন আহমেদ জানান, ২০০৪ সাল থেকে তিনি কখনও নামাজ মিস করেছেন বলে মনে পড়ে না। আলাপ আর একটু জমানোর চেষ্টা করতেই মোবাইল ফোনটি ফের বেজে উঠে। জি স্যার, ইয়েস স্যার বলতে বলতে তিনি ম’র্গের দিকে ছুটে যান।

এ দিকে এই পুলিশ কর্মকর্তার এই ঘটনা ভাইরাল হবার পর থেকেই সারা দেশে তাকে নিয়ে শুরু হয় নানা ধরনের সব আলোচনা। সকলেই তার প্রশংসা করতে থাকেন।

News Page Below Ad

আরো পড়ুন

Error: No articles to display