তাঁর প্রকৃত নাম হাবিবুর রহমান। ২০০২ সালের ২৮ মার্চ কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার মুন্সিকান্দি গ্রামের মাটিকাটা
শ্রমিক স্বপন মিয়া হত্যাকান্ডের মামলায় ২০০৬ সালের ১৫ মে তিনিসহ আরো ছয়জনকে কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। মামলা করার পরদিনই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২ নম্বর আসামি হাবিবুর রহমান। দুই বছর হাজতবাস শেষে তিনি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। পরে পিতার নাম অপরিবর্তিত রেখে নিজের নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে মো. রাকিব উল হাসান নামে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের আউটসোর্সিং পিয়ন পদের জন্য আবেদন করে মনোনীত হয়ে চাকরিরতও ছিলেন গত দুই বছর ধরে!
জানা যায়, তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাটিয়েছেন ১৮ বছর। হাবিবুর রহমানের বাড়ি হোমনা উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. আবদুর রহিম বলেন, ‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এসব প্রতারণার বিষয় স্বীকার করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম ঠিক রেখে তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করেন। নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আউটসোর্সিং পিয়ন পদে চাকরি নেন দুই বছর আগে।’
এসময়ে তিনি আরও জানান, প্রতারণার মাধ্যমে গত ১৬ বছর ধরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর থেকে পালিয়ে বেড়ালেও তাঁকে খুঁজে বের করার বিষয়ে পুলিশ সদস্যরা সবসময়ই চেষ্টারত ছিলেন।