নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে উচ্চ হারে। চাল, ডালের মত খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি সবচেয়ে উচ্চ হারের মূল্যস্ফীতি ঘটেছে তেলের ক্ষেত্রে। তেলের দামের এই অতিবৃদ্ধির ফলে জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। ফলে ক্রমশই সমালোচনার মুখে পরতে হচ্ছে সরকারী নীতি-নির্ধারকদের। এর মধ্যে আজ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে দেশের বাজারেও তা সমন্বয় করা হয়েছে। এটি না করা হলে আরও বড় সংকট দেখা দিতো। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তেলের দাম বাড়িয়েছি। কারণ দেশের ৯০ শতাংশ খাওয়ার তেল আমরা আমদানি করে থাকি। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে কনটেইনার ভাড়া। এর সমন্বয় যদি আমরা ঠিক করে না দেই তাহলে আমদানিকারকরা তো তেল আনবে না।
তিনি বলেন, এজন্য আমাদের ট্যারিফ কমিশন বসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ১৫ দিনের গড় দাম নির্ধারণ করে, কনটেইনার ভাড়া সব দেখে একটা মূল্য নির্ধারণ করে যেটা হওয়া উচিত সেটা আমরা বলি। তেলের যে বিষয়টা সেটা বিশ্ব বাজারে ৪ বছর আগে যেটা ছিল তার দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। সেটা যদি আমরা না বাড়াই তাহলে তারা আমদানি করবে না। আমদানি না করলে আরও বড় সংকট দেখা দিবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন দেশে টিসিবির ৪০০ ট্রাকের মাধ্যমে দিচ্ছি, সেটা দরকার হলে ৮০০ করে দেবো। আমরা চিন্তা করলাম রমজান মাসে ৫০ লাখ লোককে দেওয়া যায় কি না। সেটা ট্রাকের মাধ্যমে নয়, তৃণমূলে যাদের সরকার আগে আড়াই হাজার করে টাকা দিয়েছিল, দুস্থ যাদের তাদের কাছে পৌঁছে দেবো। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, ১ কোটি মানুষকে দিতে।
এসময় মানুষের কষ্টের কথা স্বীকার করলেও আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সরকারকে অসহায় বলে জানালেন টিপু মুনশি। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকির চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।