আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া নির্বাচন কমিশনের বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমি মনে করি আমি সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছি। সবগুলো নির্বাচন শেষ করে দিয়েছি। একটা নির্বাচনও বাকি রাখিনি। ১০ তারিখ যেটা ছিল সেটার সময় হয়েছিল, সব নির্বাচন শেষ করে এবার আমরা পরিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করেছি।’
কমিশনের সফলতা বা ব্যর্থতা নিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। কোনো রকমের কারও কথায় না, আইনের শাসনের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছি। একটা পদের জন্য নির্বাচন করেন সাতজন, পাস করে একজন। বাকি ছয়জন তো সমালোচনা করবেই। সমালোচনা হবে, ভালোমন্দ বলবে। এটা স্বাভাবিক, এদেশের কালচার অনুযায়ী স্বাভাবিক।’
নির্বাচন সুষ্ঠতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সব সুষ্ঠ হয়েছে তা নয়; মারামারি হয়েছে, কোথাও ব্যালট ছিনতাই হয়েছে আবার ধরা পড়েছে। নির্বাচন বন্ধ হয়েছে। আবার পুনরায় নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং সবগুলো নির্বাচন পরিপূর্ণ সুষ্ঠ হয়েছে তা বলা যাবে না, কিছু নির্বাচন তো এমন হয়েছেই।’
সিইসি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারাই বলেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে। শীতের দিনে রোদের মধ্যে নারী পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছে, ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে, ইভিএমে ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে। এরচেয়ে সফল নির্বাচন আর কি হতে পারে।’
উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ ও দূর্নীতি এবং সহিংসতামূলক কর্মকান্ডে নমনীয় ভূমিকা পালনের জন্য কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন নানাসময় ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলো।