মানবতাবিরোধী অপরাধে দন্ডিত ও ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাকে গত ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিএফ) একটি অনুষ্ঠানে ‘ছাত্র ইউনিয়নের লোক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এমন বক্তব্যে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। এরই প্রেক্ষিতে ছাত্র ইউনিয়নের ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ৫০০ ধারায় মানহানির মামলা দায়ের করেছেন ছাত্র ইউনিয়নের শরীয়তপুর জেলা সভাপতি সাইফ রুদাদ। মূলত ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ জানিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যায়। বুধবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
রুদাদ বলেন, ‘কাদের মোল্লা মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তা কার্যকরও করা হয়েছে। তার মতো ঘৃণ্য ব্যক্তিকে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ইতিহাস বিকৃতি করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মানহানির মামলা করা হয়েছে। ‘
মামলার আইনজীবী আজিজুর রহমান রোকন বলেন, ‘জেলা ও দায়রা জজ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আদালত আদেশ দিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে হাজির হওয়ার সমন জারি করার জন্য।‘
প্রসঙ্গত, নির্মিতব্য নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবকৃত নামের তালিকায় নিজের পছন্দের নাম জানানোর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে নানাভাবে আলোচনা, সমালোচনার মুখে পরেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক।