Monday , December 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় কী কী সিদ্ধান্ত হলো, জানাগেল বিস্তারিত
BNP

দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় কী কী সিদ্ধান্ত হলো, জানাগেল বিস্তারিত

বিএনপি (BNP) বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দল। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে নানা ধরনের রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছে। তবে বহুল আলোচিত এবং জনপ্রিয় দল গুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি। অবশ্যে বর্তমান সময়ে নানা ভাবে অবহেলিত এবং নির্যাতিত বিএনপি দল। চলমান সকল সংকট নিরসনের জন্য বিশেষ ভাবে কজা করছে দলটি। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে দলের সিনিয়র নেতারা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ প্রশাসনসহ সার্বিক রাজনৈতিক ইস্যুতে শিগগিরই বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আলোচনা শুরু হবে বলে আশা করছেন নেতারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বাধীন স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যকে দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি বৈঠকের তারিখ নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনকালীন ‘নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ প্রশাসন’ প্রতিষ্ঠা করতে ‘একদফা আন্দোলন’ করতে চায় দলটি। সে লক্ষ্যে শুক্রবার স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “এই অবৈধ সরকারকে কেউ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আর আলোচনা একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সব সময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। শিগগিরই আমরা তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করব। আপনারাও থাকবেন। আগেই জানিয়েছি।’

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (Amir Khasru Mahmud Chowdhury) বলেন, দলের মহাসচিব স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে ‘একদফা আন্দোলন’ এখন আর বিএনপির একমাত্র ইস্যু নয়। সারাদেশের মানুষ এখন এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন চায়। কারণ দেশের মানুষ আর এই ‘রাতের ভোটের সরকার’কে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা তাদের ভোটাধিকারসহ সকল মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আর সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে বিএনপি। ক/রো/না সং/ক্র/ম/ণে/র কারণে আপাতত মাঠের কর্মসূচি শিথিল করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় একটাই, তা হলো নির্দলীয়-নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠার জন্য সারাদেশে জোর আন্দোলন গড়ে তোলা। আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে তা কখনোই সম্ভব হবে না।তাই নিরপেক্ষ সরকারের দাবি। এই সরকারকে বরখাস্ত করে বাস্তবায়িত হবে।’

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, এক দফা আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্য সমমনা সব দলকে নিয়ে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’ গড়ে তুলতে হবে। স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকেও এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিএনপি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সমমনা বাম, ডান ও ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। শিগগিরই তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু করবে দলটি। বৈঠকে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আগামী নির্বাচনে গঠনমূলক পরিবর্তন ও সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি পেশ করবে বিএনপি। একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক ইস্যুতে দলগুলোর মনোভাবও চাওয়া হবে। ‘একদফা দাবি’ আদায়ে নিজ নিজ দলের ব্যানারে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়েও একমত হয়েছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ না নেওয়া সব দলকে ধন্যবাদ জানানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (Iqbal Hasan Mahmud Tuku) বলেন, স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়ে মহাসচিব জানাবেন। তবে আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের দাবিতে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। তাই এখন নির্বাচন কমিশন আইনে কিছু আসে যায় না। কারণ যে সরকার এই (নির্বাচন কমিশন) (Election Commission) আইন পাস করেছে সেই সরকারই অবৈধ। বাংলাদেশে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী কেউ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এছাড়া নিরপেক্ষ সরকার ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। ক/রো/না/র কারণে আপাতত মাঠের কর্মসূচি শিথিল করা হয়েছে। ক/রো/না/র প্রাদুর্ভাব কমলে আমাদের কার্যক্রম যথারীতি শুরু হবে।

কয়েক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন। এরই সুবাধে রাজনৈতিক মাঠে বেশ সরব হয়েছে দেশের সকল রাজনৈতিক দল গুলো। এমনকি আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জানিয়েছে বেশ কিছু দাবি। বিএনপি দলও সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচনের জন্য নানা ধরনের দাবি তুলেছে। এমনকি এই বিষয়ে সরকারের দিয়েছে বেশ কিছু পরামর্শ।

About

Check Also

উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুর জন্য দায়ী তারই পূত্রবধূ, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ মারা গেছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *