কানাডার (Canada) বেগমপাড়া (Begampara) নিয়ে দেশ জুড়ে বেশ কিছু দিন ধরে নানা আলোচনা-সমালোচনা বিরাযজ করছে। অভিযোগ রয়েছে দেশের বেশ কিউচ অসাধু ব্যক্তি নানা কৌশলের দেশের অর্থ হাতিয়ে কানাডার বেগমপাড়ায় বিলাসী জীবন-যাপন করছে। তবে এমন ব্যক্তিদের সংখ্যা কত জন এই বিষয়ে তথ্য রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এমনটা জানিয়েছেন তিনি। তবে এই তথ্যর অভাবে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারছে না দুদক। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বললেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (Corruption Commission) (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ (Mohammad Moinuddin Abdullah) বলেছেন, কানাডার বেগমপাড়ায় যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি সম্পদ অর্জন করেছেন তাদের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। কানাডার বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশিদের অবৈধ সম্পদে অভিজাত গ্রাম গড়ে উঠেছে। যা বেগমপাড়া নামেও পরিচিত। অর্থ পাচারকারীদের অধিকাংশই আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। অর্থ পাচারকারীদের তালিকা ও তাদের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা জানতে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর নিজ উদ্যোগে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কানাডায় যারা সম্পদ অর্জন করেছেন তাদের একটি তালিকা তার কাছে রয়েছে। একই বছর মানি লন্ডারিং ও বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় দুদক। তালিকা প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কানাডার বেগমপাড়ায় দুর্নীতিবাজদের তালিকা আমরা পাইনি। পাওয়ার কোনো ম্যাকানিজম আমাদের নেই। বেগমপাড়ায় কার বাড়ি আছে তার তালিকা পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা আমাদের কাছে নেই।
মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ বলেন, “তার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) (foreign minister) তালিকা আছে, কিন্তু বারবার অনুরোধ করার পরও তিনি পাচ্ছেন না। আমরা কীভাবে এগোবো।? যা পেয়েছি তা নিয়ে কাজ করছি। বেগমপাড়ার কোনো তালিকা কেউ আমাদের দেয়নি।” ‘তিনি বলেন, কোনো দেশই মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য দিতে চায় না। কারণ টাকা ওই দেশে যাচ্ছে এবং টাকা রাখার জন্য তারা তথ্য দিচ্ছে না। তিনি বলেছেন, মামলা হলে তিনি তথ্য দেবেন, তবে তথ্যের প্রয়োজন। একটি মামলা করুন। কোন দেশ দিচ্ছে না। আমরা এই প্রতিকূলতার জন্য কাজ করছি। ১৮ নভেম্বর, ২০২০ তারিখে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে কানাডায় এমন ২৮টি মানি লন্ডারিং মামলা রয়েছে। তবে এর মধ্যে মাত্র ৪ জন রাজনীতিবিদ। অন্যরা সরকারি কর্মচারী ও পোশাক ব্যবসায়ী।
দূর্নীতি প্রতিরোধে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। এবং তিনি এক্ষেত্রে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন। ইতিমধ্যে দূর্নীতির সাথে যুক্ত অনেককেই শনাক্ত করে শাস্তির সম্মুখীন করেছেন সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা।