সাধারণ মানুষদের অজ্ঞান করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়া বহুল পরিচিত ‘অজ্ঞান পার্টি’ এর আরও এক ভয়ংকর চক্রের উদ্ভব ঘটেছিলো। চায়ের কাপে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ইজিবাইকের চালককে সেই চা পান করানোর মাধ্য়মে অজ্ঞান করে ছিনতাই করতো তারা। সাহায্য়কারী হিসেবে ভ্রাম্য়মাণ চা বিক্রেতার ছদ্মবেশে সহযোগীতা করতো এক সদস্য়। আজ বুধবার এই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা ও পাবনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত ইজিবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান। গ্রেফতারকৃতরা হলো—আকাশ মাদবর (১৯), রবিন হোসেন (২২), নিজাম উদ্দিন সালমান (৩০), আকরাম হোসেন (২৬) ও সাদ্দাম হোসেন (২৬)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৬ জানুয়ারি রাজবাড়ীর কালুখালী ও গোয়ালন্দ থানা এলাকা থেকে অজ্ঞান করে ইসমাইল শেখ ও সুজন পাঠান নামে দুইজনের ইজিবাইক ছিনতাই করে একটি চক্র। পরে দুই জনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ভুক্তভোগীদের পরিবার স্ব স্ব থানায় মামলা করেন।
এরপর কালুখালী থানার ওসি নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে এসআই হাসানুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে তদন্ত শুরু করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের ঢাকা ও পাবনার বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এ চক্রের সদস্যরা প্রধানত কোনো বাড়ির মালিক ও দারোয়ান সেজে অটোরিকশা বা সিএনজি চুরি করে। এছাড়াও তারা যে অটোরিকশাটি টার্গেট করে সেখানে কোট-টাই পরিহিত সাহেব হিসেবে অটোরিকশার যাত্রী সাজে, অন্য আরও দুইজন সাহেবের বন্ধু হিসেবে অটোরিকশায় উঠে চালকের চাহিদামতো ভাড়ায় রাজি হয়ে চক্রের পূর্বপরিকল্পিত স্থানে যেতে বলে।
পথিমধ্যে তারা সুবিধাজনক স্থানে নেমে ড্রাইভারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর জন্য ড্রাইভারকে চা খাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই সময় তারা সু-কৌশলে ড্রাইভারের চায়ের মধ্যে চেতনানাশক/ উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। ড্রাইভার আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পড়লে ছিনতাইকারী চক্রের পূর্বনির্ধারিত প্রশিক্ষিত ড্রাইভার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।