কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সিইসি সহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য গঠিত অনুসন্ধান কমিটির কাছে আজ শুক্রবার নাম প্রস্তাব করতে পারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।ওই বৈঠকে শুক্রবার সার্চ কমিটির কাছে নিজেদের পছন্দের ১০ ব্যক্তির নাম সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত হয়।
সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ নেতাই সিইসি হিসেবে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে।
সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে নেওয়া নেতাদের কাছে নাম চান দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। নেতারা পাঁচটি করে নাম লিখে খামে ভরে দলীয় সভাপতির হাতে জমা দেন। তারা শেখ হাসিনাকে প্রস্তাবিত নাম থেকে চূড়ান্ত করে তা সার্চ কমিটির কাছে প্রেরণের অনুরোধ করেন।
সভায় উপস্থিত একাধিক নেতার সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ নেতাই সিইসি হিসেবে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে।তাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পছন্দও করেন। তিনি বর্তমানে বিশ্বব্যাংকে বিকল্প নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেখানে তাঁর চাকরির মেয়াদ নভেম্বর পর্যন্ত রয়েছে। অবশ্য নতুন দায়িত্ব পেলে বিশ্বব্যাংকের চাকরি ফেলে আসতে কোনো বাধা নেই।
নেতাদের পছন্দের তালিকায় মোহাম্মদ শফিউল আলম ছাড়াও রয়েছেন- পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সচিব মোহাম্মদ সাদিক। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। সাবেক আইনসচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালও রয়েছেন তালিকায়। সাবেক দুই প্রধান বিচারপতির নামও প্রস্তাব করেছেন কয়েকজন।
এদিকে সার্চ কমিটিতে আওয়ামী লীগ এককভাবে নাম প্রস্তাব করবে বলে জানিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সার্চ কমিটিতে জোটগতভাবে নয়, এককভাবে পাঠাবে আওয়ামী লীগ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সার্চ কমিটিতে নামের তালিকা জমা দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নৌদ হামিলির্সের সঙ্গে বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এদিকে অতীতের অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতাকে কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ইতিমধ্যেই অনুসন্ধান কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করা থেকে বিরত থাকার ঘোষনা দিয়েছে।