সম্প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (RAB) ৭ কর্মকতাকে মার্কিন যুক্ত্ররাষ্ট্রে( United States) প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আসতেই রীতিমতো গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক শোরগোল। তবে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে র্যাবের বিরুদ্ধে আসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সময় লাগবে বলে মন্তব্য করে আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে (National Assembly session) ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন (Foreign Minister AK Abdul Momen) বলেছেন, র্যাবের (RAB) বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু এর জন্য সময় লাগবে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেন তিনি।
মোমেন বলেন, আলোচনা ছাড়া অপপ্রচারের কারণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসা ও মানব পাচার (Human trafficking) বন্ধ করেছে র্যাব। কেউ কেউ ভুল তথ্য দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করেছে।
তিনি বলেন, র্যাব এমন কাজ করেনি যাতে এটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হবে। বরং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তারা কাজ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই আমি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর (Secretary of State of the United States) সঙ্গে আলাপ করি। আমার আলোচনা খুব ইতিবাচক ছিল. আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সংলাপের কাজ শুরু হবে। এপ্রিলে নিরাপত্তা সংলাপ হবে। তাছাড়া অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব তো আছেই…. আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একাধিক বৈঠকের আয়োজন করেছি। আমরা বিশ্বাস করি আমরা এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারব।
এদিকে বাংলাদেশ র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রীতিমতো মেনে নিতে পারছে না কেউই। দুর্নীতি-অপরাধ দমনের পাশাপাশি প্রায় সারাবছরেই দেশের নানা উন্নয়নমূলক কাজে দেখা যায় তাদের। আর তাদের বিরুদ্ধই এমন অভিযোগ, কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না প্রশাসন।