হঠাৎ করেই প্রবাসী (Abroad) শ্রমিকদের জন্য সুসংবাদ দিল ইতালি। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় ৩২টি দেশের নাগরিকরা এই সুবিধা পাচ্ছে। প্রতিবছরেই বিশ্বের অনেক দরিদ্র দেশ থেকে জীবিকার লক্ষ্যে ইতালি পাড়ি জমিয়ে থাকে অসংখ্য নাগরিক। তবে সম্প্রতি চলমান বৈশ্বিক মহামারির কারনে দীর্ঘ সময় প্রবাসী শ্রমিক গ্রহনে নানা ধরনের বিধি নিষেধ জারি করেছিল ইতালি। তবে নতুন করে সকল বিধি নিষেধ শিথীল করেছে দেশটি।
আজ (২৭ জানুয়ারি) ইতালির স্থায়ী স্পনসর (sponsor) ভিসা visa আবেদনের প্রথম দিন। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। যে আগে জমা দিতে পারে তার জেতার সম্ভাবনা বেশি। ডিফারেনশিয়াল পালস-কোড মডুলেশন (DPCM) অনুসারে, ২০২২ সালের জন্য ইতালির ভূখণ্ডে নন-ইইউ কর্মীদের প্রবেশের জন্য প্রথম ক্লিকের দিন। এটি কোটার মাধ্যমে বিদেশী কর্মীদের ইতালিতে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করবে। বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশের নাগরিকরা ১৭,০০০ স্থায়ী স্পনসর ভিসা ইউনিটের কোটার জন্য আবেদন পাঠাতে শুরু করবে। ইতালীয় বাসিন্দাদের স্পিড আইডেন্টিটি (https://nullaostalavoro.dlci.interno.it) এর মাধ্যমে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। সাধারণত বাংলাদেশীদের আবেদন কোটা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন হয়। যারা আগে জমা দেন তাদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। স্থায়ী স্পন্সর ভিসার ক্ষেত্রগুলি হল নির্মাণ, পর্যটন, পরিবহন খাত এবং সাধারণ কর্মী। এই ক্যাটাগরির আওতায় ১৭ হাজার শ্রমিক স্থায়ীভাবে ইতালিতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে বাংলাদেশে (Bangladesh) কোটা আবেদনকারীর চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
ইতালি (Italy) কৃষি-পর্যটন খাত, হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্মী এবং মৌসুমী কাজের জন্য ৪২,০০০ কর্মী নিয়োগ করবে। মৌসুমী শ্রমিকদের আবেদনের ক্লিক দিবস ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় শুরু হবে। যাইহোক, উভয় বিভাগে আবেদন করার শেষ তারিখ ১৭ মার্চ। আবেদনগুলি ইতালির স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা, সোমবার থেকে শুক্রবার এবং শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। রোববার বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশিদের জন্য আবেদন জমা এবং কোটা পূরণের সময় সবকিছু চূড়ান্ত করতে হবে। একই সঙ্গে মালিকের নথিপত্র আপডেট রাখা জরুরি। অন্যথায় আর্থিকভাবে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্বে বর্তমান সময়ে প্রায় ১ কোটির বেশি বাংলাদেশী বসবাস করছে। এবং এই সকল প্রবাসী শ্রমিকরা দেশের উন্নয়নের জন্য অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। প্রতিবছরেই প্রবাসীরা মোটা অঙ্কের অর্থ দেশে পাঠাচ্ছে। সম্প্রতি প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।