বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জাতীয়াবাদী বিএনপি। এই দলের মহা সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্প্রতি তিনি নিজ দলের বর্তমান চেয়ারপারসন এবং ভাইস চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে ঘিরে বেশ কিছু কথা বলেছেন। এমনকি তিনি জানিয়েছেন তারেক রহমান একজন ‘শিশু মুক্তিযোদ্ধা’। এবার তার এই বক্তব্যকের ঘিরে বেশ কিছু কথা জানালেন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি ফখরুলের দেওয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে বিএনপি যে দাবি করছে- তা সর্বৈব অসত্য ও মিথ্যা। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি স্বেচ্ছায় ক্যান্টনমেন্টে সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করেছেন। এরপরও যদি তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন, তাহলে সেটা ইতিহাস বিকৃতিই নয়, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ ও অবমাননা করা হবে। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল নাসের চৌধুরী।
মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা অনুযায়ী যারা পাক বাহিনীর হাতে নি/র্যা/তি/ত হয়েছে কেবল তারাই মুক্তিযোদ্ধা। খালেদা জিয়া কি পাক বাহিনীর দ্বারা নি/র্যা/তি/ত হয়েছেন? তিনি স্বেচ্ছায় ক্যান্টনমেন্টে গিয়েছেন। তাই তিনি নির্যাতনের ক্যাটাগরিতে পড়েন কিনা, সেটা দেশবাসীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন। তারেক জিয়া ‘শিশু মুক্তিযোদ্ধা’ ছিলেন- শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দেওয়া এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মোজাম্মেল হক বলেন, শিশু মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে যেটা বলেছেন সেটা আমার জানা নেই, শুনিও নাই। এ বিষয়ে কীভাবে নিন্দা জানাব, সেই ভাষা আমার নেই। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে এমন কথা শুনে বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। একথা বলেও তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছেন এবং ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়েছেন।
বাংলাদেশ সৃষ্টির পিছনে ইতিহাস গাঁথা গল্প রয়েছে। এই দেশ স্বাধীনতার লক্ষ্যে বহু ত্যাগ স্বীকার করেছে। এবং ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে বাংলাদেশ সরকার।