বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি বিষয় আজ খুবই স্পষ্ট যে, অপরাধী যেই হোক না কেন আইনের হাত থেকে ছাড় পাচ্ছে না কাউই। সে দলেরই হোক, বা অন্য কেউ আইনের কাছে সর্বদা সে একজন অপরাধী হিসেবেই গণ্য হচ্ছে। এবং কেউ চাইলেও আইন নিজের হাতে তুলে পারছে না। আর এরই জের ধরে আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা ওয়াসার বুড়িগঙ্গা হলে ‘নিম্ন আয় এলাকার আদর্শ গ্রাহকদের সম্মাননা স্মারক বিতরণী’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলার পদ্ধতি ভাল। এখানে চাইলে ও ইচ্ছে করলেই কেউ কাউকে গুলি করতে বা ক্রসফায়ার করতে পারেন না।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে র্যাবের সাবেক ৬ কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ‘প্রতিবেদনটা এখনো আমার টেবিলে আসেনি। তারা কেন কিভাবে এই নিষেধাজ্ঞাটা দিয়েছে আমাকে দেখতে হবে। আমি যতটুকু শুনেছি তারা যে নিষেধাজ্ঞাটা দিয়েছে সবগুলোর ক্ষেত্রে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি হয়। তারা চেক করে যে দুর্ঘটনাটি হলো এর পেছনে যথাযথ কারণ ছিল। যদি কোনো গাফিলতি পায় তার বিরুদ্ধে মামলা চালু হয়ে যায়। আমাদের সিস্টেম কিন্তু সুন্দর সিস্টেম। এই সিস্টেমে কেউ ইচ্ছে করে ক্রসফায়ার বা গুলি করতে পারে না। যেসব ঘটনা ঘটেছে যথাযথ কারণ ছিল বলেই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এই সমস্ত ঘটনা শুধু আমাদের দেশে না পৃথিবীর সব দেশে এই ঘটনা চলছে এবং চালু আছে। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন কুমিল্লায় কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে যেভাবে গুলি করেছিল, কোন নিরাপত্তা বাহিনী গিয়ে যদি বলে আপনারা আসেন তারা কি আসবে? সন্ত্রাসীরা যখন আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে তখন আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা আত্মরক্ষার্থে হয়তো অনেক সময় গুলি করে, তা যুক্তিসংগত ছিল কি ছিল না তা পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসে।’
এর আগে ওয়াসা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে কলসি মিছিল হতো৷ মা-বোনরা মিছিল নিয়ে বের হয়ে আসতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় এখন আর সে পরিস্থিতি নেই।’
বস্তির মানুষের জন্য পানির ব্যবস্থা করায় ঢাকা ওয়াসাকে ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘পানির যে যন্ত্রণা, সেটা আজ আমাদের নেই। বস্তিবাসীর পানির পয়সা কিন্তু সব সময় দিতে চাইতো। যেহেতু তাদের স্থায়ী ঠিকানা ছিল না। তাই ওয়াসা দিত পারত না। ওয়াসা যে পদ্ধতিটা বের করেছে, তাতে বস্তির মানুষ উপকৃত হচ্ছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সারা ঢাকাই সন্ত্রাস কবলিত ছিল। আমিও ব্যবসায়ী ছিলাম। আমাকেও টেলিফোনে শুনতে হতো চাঁদা দাও। এখন পুলিশ বাহিনী সন্ত্রাসকে কন্ট্রোল করছে জন্যই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
অন্যান্য সরকারের আমলে সন্ত্রাসীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারলেও বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তা হচ্ছে না। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকেই আইনের কাঠগড়ায় দাড় করানো হচ্ছে। আর এই দিকে আগামীতে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।