তোমার জন্য এসব হয়েছে, আদালতে মতিউরকে ধমক দিয়ে বললেন স্ত্রী

ঢাকার একটি আদালত দুর্নীতির মামলায় আলোচিত “ছাগলকাণ্ডে” জড়িত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান এবং তার স্ত্রী, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে এক দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।

রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানির সময় স্বামী-স্ত্রীকে ৪৫ মিনিট আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে লায়লা তার স্বামী মতিউরকে ধমক দিয়ে বলেন, “তুমি চুপ থাকো। সব তোমার জন্যই হয়েছে।” এরপর মতিউর আর কিছু বলেননি।

এর আগে পুলিশ তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে। দুপুর ২টা ৫ মিনিটে তাদের কাঠগড়ায় তোলা হয়।

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন মতিউর ও লায়লা। কিন্তু মতিউর কিছু বলতে গেলে আবারও তাকে ধমক দিয়ে লায়লা বলেন, “তুমি বেশি কথা বলো। চুপ থাকো। আমি বলছি। সব তোমার জন্য হয়েছে।” স্ত্রীর ধমকের পর মতিউর নীরব থাকেন, আর লায়লা আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ চালিয়ে যান।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মতিউর রহমান এবং লায়লা কানিজ ইচ্ছাকৃতভাবে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ভুয়া ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ টাকার সম্পত্তি গোপন করেছেন। এছাড়া ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে পারস্পরিক যোগসাজশে ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকার সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তাদের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। তারা এসব অবৈধ সম্পদের ভোগ-দখলও করে আসছেন।

মামলাটি তদন্তাধীন। এ ছাড়া বিপুল অঙ্কের প্লেসমেন্ট শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে তাদের জালিয়াতির প্রমাণ রয়েছে। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এই জালিয়াতিতে অন্য কারও সম্পৃক্ততা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। একইসঙ্গে তাদের মেয়ে ফারজানা রহমানের নামে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার বিষয়ে মতিউর ও লায়লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

গত ৬ জানুয়ারি দুদক ফারজানা রহমানের নামে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা গোপন এবং ৫৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে।

Scroll to Top