বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছে। রুমিন ফারহানা সম্প্রতি হাসনাতকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বলে অভিহিত করেছেন। এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বিএনপির এ নেত্রী।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ফকিন্নির বাচ্চা ব্যাপারটা কি, এটা একটা মাইন্ডসেট। এটার মানে এই নয় যে, আপনি গরিব। এটা না। এর মানে হলো, আপনার চিন্তা-ভাবনার মধ্যে এখনও খুব নিম্নস্তরের কিছু ব্যাপার কাজ করে।’
তিনি বলেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, হুমায়রা নূর নামে একজন নারী নেত্রী, ওদের যুগ্ম সদস্য সচিব, তিনি কি ধরনের ভাষা করেছেন। ওই ধরনের ভাষা স্ল্যাম এরিয়াতে ব্যবহার হয়। খুব রেগুলার বেসিসে হয়। এ জন্য ওদেরকে ফকিন্নি কেউ বলে, কেউ কাচড়া বলে, কেউ বস্তি বলে।’
বিএনপির এ নেত্রীর ভাষ্য, ‘ওরা যেই ভাষায় পলিটিক্সটা করে, ওরা যেই ভাষায় স্লোগান দেয়, ওরা যেই ভাষায় প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে, ওরা যেই ভাষায় প্রতিদ্বন্দ্বীকে ফ্রেম করে, সেটা বস্তির ভাষার সঙ্গে খুব ভালো মেলে। উনি যে আমাকে আওয়ামী লীগের সম্পাদক বললেন, ফকিন্নির বাচ্চা বলেছি, এর নিচে যে ছবিগুলো শেয়ার করেছি সেগুলো দেখেছেন, ওগুলো কি ইন্ডিকেট করে? কে ছিল আওয়ামী লীগের সম্পাদক?’
‘এখন ঢিলটি মারলে পাটকেলটি আপনাদের খেতে হবে। এটলিস্ট সো ফার আই অ্যাম কনসার্নসড’, যোগ করেন বিএনপির দলীয় সাবেক এমপি রুমিন ফারহানা।
প্রথমে হাসনাত আবদুল্লাহ রুমিন ফারহানাকে ‘বিএনপির আওয়ামী লীগের একজন সম্পাদক’ বলে উল্লেখ করেন। জবাবে রুমিন ফারহানা সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসনাত আবদুল্লাহর তীব্র সমালোচনা করেন এবং তাকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বলে অভিহিত করেন।
এর পাশাপাশি, রুমিন ফারহানা পোস্টে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাথে হাসনাত আবদুল্লাহর সম্পৃক্ততার বিভিন্ন ছবি এবং প্রমাণ সংযুক্ত করেন। দুই দলের শীর্ষ নেতাদের এমন বক্তব্য ফেসবুক এবং রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, রুমিন ফারহানা বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবী। তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসন-৫০ থেকে নির্বাচিত একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের এই সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অলি আহাদ-এর বাবা একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক; একই সাথে তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক। এই শক্তিশালী রাজনীতিবিদ মূলত তার বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছিলেন।



