‘হতাশা, দুঃখ, অসন্তোষ এবং পরিবর্তিত বাস্তবতার বোঝা সইতে না পেরে, সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার শেষ লেখাটি লেখার পর মেঘনা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজের জীবন শেষ করে ফেলেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য যেমন বেদনাদায়ক, তেমনি শিক্ষণীয়ও,’ বলেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারি।
রাষ্ট্রদূত-সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি শুক্রবার (২২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এই কথাগুলো বলেন। তিনি একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত বিভুরঞ্জন সরকারের ‘খোলা চিঠি’ও সংযুক্ত করেছেন।
মুশফিকুল ফজল আনসারি আরও বলেন, ‘বিভুরঞ্জন সরকারের লেখালেখির সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত। তিনি সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে যেমন লিখেছেন, তেমনি পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে “স্বপ্ন পূরণের কারিগর” হিসেবেও উপস্থাপন করেছিলেন। তার সর্বশেষ লেখায় স্পষ্ট হয়েছে অপ্রাপ্তির বেদনা ও পারিবারিক অনটনের চিত্র, যার দায় তিনি হাসিনা সরকারের উপর ন্যস্ত করেছেন। অথচ হাসিনা তার স্তাবকশ্রেণির তথাকথিত সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের বিলাসিতা আর বৈভবে ভরিয়ে দিলেও বিভুরঞ্জনের দিকে তাকানোর ফুরসত পায়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিভুরঞ্জন সরকারের মতামত নিয়ে মতভেদ থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু এমন মৃত্যু কেবল অপ্রত্যাশিতই নয়, অত্যন্ত দুঃখজনকও। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’ উল্লেখ্য, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর, সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারিকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।



