স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক রিয়াদের সম্পর্ক কি? যা জানা গেল

ঢাকার গুলশানে সংরক্ষিত আসনের এক সাবেক সংসদ সদস্যের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে আটক আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ছাত্র প্রতিনিধি। তিনি মন্ত্রণালয়ের একটি সরকারি কমিশনের সদস্যও ছিলেন।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এ নিয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

তিনি তার পোস্টে লিখেছেন: “আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি এবং বাগছাস (বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ)-এর কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তাকে ইতোমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি মন্ত্রণালয়েরই এমন তথাকথিত ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছে। সরকারের ছত্রছায়ায় এরা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।”

“পদ ব্যবহার করে এরা চাকরি বাণিজ্য, তদবির, বদলি বাণিজ্য, মিথ্যা মামলাসহ নানান অপকর্মে জড়িত। বুঝতে পারছেন, কেন এরা কোনো নির্বাচনের পক্ষে নয়? কারণ নির্বাচন হলে ওদের কোটি কোটি টাকার স্মার্ট চাঁদাবাজির পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ‘বিচার ও সংস্কার’-এর নামে ৫ বছরের আওয়াজ জোরেসোরে তোলে। ফেসবুকে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে গরম গরম পোস্ট, এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ব্যাপারটা!”

সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝরও ঘটনাটি নিয়ে তার ফেসবুকে লিখেছেন, গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদসহ ৫ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।

রিয়াদের রাজনৈতিক অভিভাবক নাহিদ ইসলাম। প্রশ্ন উঠেছে—এই চাঁদাবাজকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি বানিয়েছে কারা? নাহিদ ইসলামরা এভাবেই সারা দেশে চাঁদাবাজি চালিয়ে যেতে চায়। ‘নতুন বন্দোবস্ত’-এর নামে তারা এখন নীরবে দেশজুড়ে লুটপাট ও চাঁদাবাজি চালাচ্ছে।

আটক হওয়া অন্যান্য ব্যক্তিরা হলেন—সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদমান সারদার সাদাব (২১) ও ইব্রাহিম হোসেন মুন্না (২৪)। অপর একজন আটককৃত হচ্ছে আমিনুল ইসলাম (১৩)।

ঘটনার পর গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন—ঘটনার মূল হোতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু। পাশাপাশি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও তাদের তিন নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।

Scroll to Top