অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ইয়াসির আরাফাত এবং ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভোলাহাট উপজেলা মহিলা দলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেত্রী শাহনাজ খাতুনকে আম বাগানে আটক করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
ভোলাহাট উপজেলা মহিলা দলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনাজ খাতুন সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
শাহনাজ খাতুন বলেন, “ভোলাহাটে আমার এক মহিলা কর্মী তার স্বামীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি যখন ভোলাহাট থানায় তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে যান, তখন ওসি ৫০,০০০ টাকা দাবি করেন। পরে, তিনি আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি ওসির সাথে যোগাযোগ করি। ওসি শহীদুল ইসলামও আমাকে এ ব্যাপারে সাহায্যের আশ্বাস দেন। কিন্তু তিনি সাহায্য করেননি। পরে, আমি পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করি। সেই সময়, পুলিশ সুপার আমাকে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন।
পরে শনিবার (২৮ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকা থেকে আমাকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তখনও ওসি আমার নামে ওরেন্ট দেখাতে পারেননি। আমি থানায় যাব না মর্মে রাস্তায় শুয়ে পড়েছিলাম। এরপরও ভোলাহাট থানার ওসি আমাকে টেনে-হেঁচড়ে থানায় নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে আমাকে ভোলাহাট-শিবগঞ্জ সড়কের কোলমুগাড়া এলাকায় আম বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইয়াসির আরাফাত।
পরে, আমাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং চোখ বেঁধে দেওয়া হয়। চোখ বেঁধে এবং হাত পিঠে বেঁধে, পরের দিন রাত ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে, আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আমাকে বিচারকের সামনে নেওয়া হয়নি কারণ তারা জানত যে আমি নির্যাতনের কথা বিচারককে বলব। আমি পুলিশের কাছে এই নির্যাতনের বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, শাহনাজ ওরেন্টেভুক্ত আসামি। তাই তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। তবে তাকে মারধর করা হয়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, শাহনাজের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু গ্রেপ্তারের সময় তিনি গাড়িতে উঠছিলেন না। সেই মামলায়, ওসি এবং মহিলা পুলিশ তাকে গাড়িতে উঠতে সাহায্য করেছিলেন। তবে নির্যাতন চালানো হয়নি। মামলা থেকে রক্ষা পেতে তিনি এসব করছেন।



