২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। তবে সোমবার (৭ জুলাই) ট্রাইব্যুনালে তাদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমির হোসেন এই মামলায় তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানান।
শুনানিতে আমির হোসেন বলেন, “আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সময় শেখ হাসিনা দেশে ছিলেন না। বরং দেশে ফিরে তিনি নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। ওই ঘটনায় তিনি ব্যথিত ছিলেন, কোনোভাবেই সম্পৃক্ত ছিলেন না। আর আসাদুজ্জামান খান কামাল ছিলেন একজন সৎ ব্যক্তি, যিনি উন্নয়ন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই গণহত্যার দায় তাদের উপর বর্তায় না।”
তিনি আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনা ‘রাজাকারের বাচ্চা’ শব্দটি যেভাবে বলেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তা অপব্যাখ্যার শিকার। “তিনি যদি চাইতেন, তাহলে অনেক আগেই কোনো ব্যবস্থা নিতে পারতেন,” বলেন আইনজীবী।
অন্যদিকে আলোচিত শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে কথিত অডিও কলের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “এটি সঠিক নয়। এ সংক্রান্ত গ্রহণযোগ্য কোনো প্রমাণ আদালতে দাখিল করা হয়নি।”
আইনজীবী আমির হোসেন আরও বলেন, “ঘটনার সময় পুলিশেরও প্রাণহানি হয়েছে। শেখ হাসিনা সুপিরিয়র কমান্ডার ছিলেন না। তিনি দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। সুতরাং, তাকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা অনুচিত।”
অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম ইতোমধ্যে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি নির্দিষ্ট অভিযোগ আদালতে উপস্থাপন করেছেন এবং অভিযোগ গঠনের আবেদন জানিয়েছেন।
শুনানি শেষে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আগামী ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করা হবে কি না—সে বিষয়ে আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন।



