সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এনসিপির উপদেষ্টা ও নেতাদের পোস্টকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। এ প্রসঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন এবং যমুনা বা শাহবাগ অবরোধে জামায়াত-শিবির সর্বশক্তি নিয়ে উপস্থিত ছিল। তিনি আরও বলেন, জামায়াতকে কাজে লাগানো শেষ, এখন পাকিস্তানপন্থী বলে চালিয়ে দাও।”
সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি লেখেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন এবং যমুনা বা শাহবাগ অবরোধে জামায়াত-শিবির পুরো শক্তি নিয়ে অংশ নেয়। জাশির (জামায়াত-শিবির) এবং এনসিপির নেতাদের একসাথে বসে ও বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। অন্যান্য ইসলামিক দলগুলোরও উল্লেখযোগ্য সাপোর্ট ছিল। আমি মনে করি যমুনা ও শাহবাগের অবরোধে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৬০% ছিল বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতাকর্মী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে। মূলত তাদের উপস্থিতি না থাকলে আন্দোলনটা এতটা জমতো না।”
তিনি আরও বলেন, “আন্দোলন আংশিকভাবে সফল হওয়ার পর এনসিপির নেতারা এখন জামায়াত-শিবিরের তকমা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছে। কিন্তু এনসিপির কমিটিতে সরাসরি শিবিরের একাধিক নেতা রয়েছেন। যারা এখন সমালোচনা করছেন, তাদের কেউ কেউ পূর্বে শিবির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যাই হোক, রাজনীতি করতে হলে এখন তাদের প্রগতিশীল রূপেই সামনে আসতে হবে।”
রাশেদ আরও বলেন, “কিছু মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে যে, শাহবাগের প্রতিশোধ নিয়েছে জামায়াত-শিবির! আমি সরাসরি সেটা বলতে চাই না, কারণ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোরালো দাবি জনগণের পক্ষ থেকেই উঠে এসেছে। মানুষ প্রশ্ন করছে, ‘যমুনার আন্দোলন কেন শাহবাগে গেলো?’ যাই হোক, জামায়াত-শিবিরকে ব্যবহার করে কাজ শেষ, এখন তাদের পাকিস্তানপন্থী বলে তকমা দেওয়া হচ্ছে। যদি জাশি এই ঘটনার থেকে ন্যূনতম শিক্ষা নেয়, তাহলে তারা আর আগের মতো ডাক পেলে ছুটে আসবে না। কিন্তু যদি তারা মনে করে, একটা চড় মারলেও ক্ষমা চেয়ে সব মাফ পাওয়া যায়, তাহলে পরেরবার ডাক পড়লেই তারা আবার পূর্ণ শক্তি নিয়ে হাজির হয়ে যাবে…! আর যদি তাদের রাজনীতির উদ্দেশ্যই হয়, অন্যের আহ্বানে জনশক্তি সরবরাহ করা—তাহলে এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।”



