সমন্বয়ক পরিচয়ে হকারদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, জানা গেল রাজনৈতিক পরিচয়

চট্টগ্রামে সমন্বয়কারীর নামে হকারদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করার সময় স্থানীয়রা দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন আসাদুজ্জামান রাফি (২৭) এবং আব্দুল কাদের ইমন (২৬)। জাতীয় নাগরিক কমিটির ইপিজেড থানা কমিটিতে তাদের নাম ছিল বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে নগরীর ইপিজেড থানার সিইপিজেড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ (১৯ মার্চ) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ইপিজেড থানার প্রতিনিধি কমিটির দুইটি কাগজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ঘোষিত প্রতিনিধি তালিকায় আসাদুজ্জামান রাফির নাম এক নম্বরে রয়েছে। ৩২ নম্বরে রয়েছে আব্দুল কাদের ইমনের নাম।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারের পর মো. আজিম নামে এক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজির অভিযোগে ইপিজেড থানায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, মো. আজিম এবং মো. রিপন আলী সিইপিজেড এলাকায় একটি ভ্যানে করে পণ্য বিক্রি করছিলেন। রাফি এবং ইমন ইতিমধ্যেই নিজেদের সমন্বয়কারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাদের বলেছিলেন যে ফুটপাতে ব্যবসা করতে হলে তাদের চাঁদা দিতে হবে। তারা ভয় দেখালে তারা বেশ কয়েকবার চাঁদা দেন। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ইমন সিইপিজেড মোড়ে চাঁদা নিতে যান। তখন টাকা না থাকায় তাঁরা দিতে পারেননি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ওই দিন রাত ১২টার পর রাফি ব্যবসায়ী আজিমকে মোবাইল ফোনে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি কেন টাকা দিচ্ছেন না এবং হুমকি দেন যে তিনি টাকা না দিলে তাকে ব্যবসা করতে দেবেন না। এরপর রাফি আজিম এবং রিপনকে বন্দরটিলা সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের সামনে যেতে বলেন। সেখানে পৌঁছালে রাফি ও ইমন ব্যবসায়ী রিপনের কাছ থেকে ৩০,০০০ টাকা দাবি করে এবং তাকে হুমকি দিতে থাকে। এ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তিন থেকে চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন ইমন ও রাফিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

ইপিজেড থানার ওসি মো. আখতারুজ্জামান জানান, সিইপিজেড এলাকার ভ্রাম্যমাণ কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের সমন্বয়কারীর ছদ্মবেশে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় স্থানীয় লোকজন দুইজনকে আটক করে। পরে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে তাদের হেফাজতে নেয়।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. আজিম (৩৫) ইপিজেড থানায় এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।