কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই জাতীয় ঐক্য গড়তে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা কি শুরু হয়ে গেল?

অনানুষ্ঠানিক আলোচনা পর্ব কি শুরু হয়ে গেল? সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো তাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। নিশ্চিত হওয়া গেছে যে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা সংস্কার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার জন্য কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করছেন। গত সপ্তাহে বিভিন্ন দিনে এই বৈঠকগুলি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রিয়াজ এবং সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার ইতিমধ্যেই সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছেন। এই আলোচনায় তারা মূলত বুঝতে চেয়েছিলেন যে সংস্কার কমিশনসমূহের কোন্‌ কোন্‌ সুপারিশ নিয়ে বড় দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।

এ ছাড়া সংস্কারের বিষয়ে দলগুলোর সামগ্রিক মনোভাব জানা এবং সংস্কার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশন তথা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি জানানোর লক্ষ্যেই এসব অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জাতীয় নাগরিক দল (এনসিপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, নাগরিক ঐক্য, এবি পার্টি এবং আরও বেশ কয়েকটি দলের সাথে এই ধরনের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঐক্যমত্য গঠন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার গনমাধ্যমকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সাথে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ সামগ্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। তবে সংস্কার প্রক্রিয়াকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দল এবং শক্তির আনুষ্ঠানিক আলোচনা পর্ব আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে শুরু হতে পারে।


এতদিন পলাতক ছিলাম, এবার তোমাদের পালা খেলা শুরু করছো তোমরা, শেষ করব আমরা : সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী

চট্টগ্রাম পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না, ওরফে বুড়ির নাতি, তার স্বামীর চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে। সাজ্জাদের গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী তামান্নার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একটি দল শনিবার রাতে ঢাকা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে।

তারপর, সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না লাইভে এসে বলেন, ‘হ্যাঁ, গত রাতে আমার জামাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

এতে এত খুশি হওয়ার কিছু নেই। ঠিকই বলেছেন। যখন কোনও মামলা হয়, তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এসব নিয়ে দুঃখ প্রকাশ বা কান্না করার কিছু নেই।

তোমরা যারা মনে করো যে আমার জামাই আর কখনও বেরিয়ে আসবে না। তাদের জন্য এক বালতি সহানুভূতি।’

তিনি বললেন, ‘আমরা কাঁড়ি কাঁড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব। আমার জামাই বীরের বেশে চলে আসবে।

যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে (গ্রেপ্তার করা হয়েছে) তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। মনে রাখবেন।এতদিন আমরা পলাতক ছিলাম। এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা। আমার জামাই আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আমার কাছে চলে আসবে।

তখনই খেলা শুরু হবে। খেলা মাত্র শুরু করেছ তোমরা। শেষ করব আমরা। ঠিক আছে? আমার জামাই সাজ্জাদের যারা সাপোর্টার আছে, আমার জামাইয়ের জন্য দোয়া করো- যেন ১০-১২ দিনের মধ্যে জামিন করে ফেলতে পারি। ধন্যবাদ।’