সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় কুসিক’এর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তার সহযোগী নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অন্যতম প্রধান আসামি শাহ আলম গতকাল বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাত প্রায় দেড়টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টার দিকে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের টিক্কারচর কবরস্থানে তাকে জানাজা ছাড়াই দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তাকে দাফনকালে গোটা এলাকাজুড়ে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ছিল।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতা রাস্তার দুই পাশে ভিড় করেছে। তাদের কবরস্থান এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। দুপুর আড়াইটার দিকে শাহ আলমের লাশ টিক্কারচর ঈদগাহে আনা হয়। এ সময় কবর খোঁড়ার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে স্থানীয় এক বাসিন্দা মাটি খুঁড়ে লাশ দাফন করেন। শাহ আলমের কবরের ওপরে বাঁশ বা কাঠও ব্যবহার করা হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম বলেন, টিক্কারচর কবরস্থানে লাশ দাফন না করার জন্য এলাকাবাসী বিক্ষোভ করছিল। তাই আমরা শুরু থেকেই সতর্ক ছিলাম। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে মরদেহ দাফন করা হয়।
এদিকে এর আগে গত মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন এ মামলার অন্যতম দুই আসামি সাব্বির ও সাজন। তাদের মৃত্যুর পর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো মাওলানা না পাওয়া যাওয়ায়, শেষমেষ জানাজা ছাড়াই দাফন করা হয় তাদেরকেও। এ ঘটনায় সম্প্রতি গোটা এলাকাজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।