মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি যিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেছেন, বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিএনপি নেতারা সকাল-বিকাল সর্বক্ষন অযৌক্তিক দাবি তুলছেন। দণ্ডিত অপরাধী যারা বিদেশে নিয়ে গিয়ে তাদের চিকিৎসা দেশের আইনের আওতায় পড়ে না। সাজা স্থগিত থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি দেশ ছাড়তে পারবে না। সাজা মওকুফ করা হলেই বিএনপি সভানেত্রী বিদেশে যেতে পারবেন। অপরা’ধ শি’/কার করার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রের অভিভাবক একজন দয়ালু হৃদয়ের মানুষ। তিনি যদি চান তাহলে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে “পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম: ভূমিকা ও সংকট” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে দেশের অন্যতম দুটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম। বৈঠকে হানিফ বলেন, ২০০৭ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাতের কারণে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলা হলো। বিএনপির বড় বড় আইনজীবীরা তার জন্য লড়েছেন। সন্দেহাতিতভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে দণ্ড দিয়েছেন। নৈতিক স্খলনের কারণে তার শাস্তি হয়েছে।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশ গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীন এবং তারা পুরোপুরি স্বাধীনতা ভোগ করছে। দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে টকশো, অনুষ্ঠানে আলোচকরা কোনো ধরনের সেন্সর ছাড়া সরকারের কর্মকাণ্ডের যথেচ্ছা সমালোচনা করেন। এ ধরনের স্বাধীন মতপ্রকাশে সরকার কখনো হস্তক্ষেপ করে না, কোনো ধরনের বাধার সৃষ্টি করে না।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যোগ করে বলেন, জনগণের আস্থার শেষ ঠিকানা এবং একটি বড় আশ্রয় এখনো গণমাধ্যম। এটা যেকোনো জাতির জন্য একটি আয়না। সেই আয়নায় প্রতিফলিত হয় একটি জাতি ও দেশের সব বিষয়ের প্রতিচ্ছবি। যারা এই প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার কাজটি করেন সেই সকল দায়িত্বে থাকারা কেমন আছেন? সর্বক্ষন সকল ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মাধ্যমেই সাংবাদিকরা যেকোনো ধরনের অসামন্জস্যতা এবং অপরাধ তুলে ধরেন তারা। এ অবস্থায় সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও সংকট নিরসনে গণমাধ্যমের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা জরুরি।