নামাজ শেষে ৬৫ কোটি টাকা জেতার খবর পেলেন প্রবাসী জাহাঙ্গীর

কপাল খুলতে সময় লাগে না—এই কথার বাস্তব প্রমাণ মিললো সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত এক বাংলাদেশি শ্রমিকের জীবনে। মুহূর্তেই বদলে গেল তার ভাগ্য। ‘বিগ টিকিট’ লটারিতে ২০ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৫ কোটি টাকার বেশি) জিতেছেন প্রবাসী বাংলাদেশি জাহাঙ্গীর আলম (৪৪), যিনি পেশায় একজন জাহাজ নির্মাণশ্রমিক।

জাহাঙ্গীর গত তিন বছর ধরে নিয়মিত লটারির টিকিট কিনছিলেন। সর্বশেষ, গত ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি ও তার আরও ১৪ জন বন্ধু মিলে একটি টিকিট কেনেন।

সোমবার (৩ মার্চ) আবুধাবিতে বিগ টিকিটের ড্র অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিজয়ী হিসেবে জাহাঙ্গীরের টিকিট নম্বর ঘোষণা করা হয়। তবে সে সময় তিনি নামাজে ছিলেন। ফোন বারবার বাজলেও তিনি কিছুই জানতেন না। পরে এক বন্ধুর মাধ্যমে খবর পেয়ে স্তব্ধ হয়ে যান। প্রথমে বিশ্বাস করতে না পারলেও বিগ টিকিট কর্তৃপক্ষের কল পাওয়ার পর নিশ্চিত হন—এটা কোনো স্বপ্ন নয়, বাস্তব!

পুরস্কার জয়ের অনুভূতি প্রকাশ করে জাহাঙ্গীর বলেন, “নামাজের সময় এমন সুসংবাদ পাওয়া আমাদের জন্য বিশেষ রহমত। এটা শুধু আমার জন্য নয়, আমাদের ১৪ জনের জন্যই এক দুর্লভ সুযোগ।” পুরস্কারের অর্থ কীভাবে ব্যয় করবেন জানতে চাইলে তিনি জানান, বন্ধুদের সঙ্গে মিলে দুবাইতে ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

দীর্ঘদিন শ্রমিকের জীবন কাটানো এই মানুষগুলো এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

উল্লেখ্য, আবুধাবির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিগ টিকিট’ লটারি র‌্যাফেল। এই লটারিতে মিলিয়ন দিরহামের পাশাপাশি ল্যান্ড রোভার, বিএমডব্লিউ এবং করভেটস-এর মতো স্বপ্নের গাড়ি জেতার সুযোগ থাকে। প্রতি মাসে লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয় এবং টিকিট অনলাইনে বা আবুধাবির নির্ধারিত কিছু স্থান থেকে সংগ্রহ করা যায়।


জামায়াত ইসলামীকে কেনা যাবে না অরাজকতা সৃষ্টির জন্য কিছু দলকে কিনে নিচ্ছে আ’লীগ

অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বনি আমিন, যিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের পাশাপাশি অনলাইনে স্পষ্টবাদী একজন এক্টিভিস্ট হিসেবে পরিচিত, একুশে টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।

তিনি বলেন, “চুরির টাকা দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য বিনিয়োগ করছে আওয়ামী লীগ। এত বছর ধরে যে অর্থ তারা লুটপাট করেছে, তার একটি অংশ ব্যবহার করে কিছু রাজনৈতিক দলকে কিনে নিচ্ছে। বিশেষ করে, পালিয়ে যাওয়া কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের, যাদের পেশাই রাজনীতি, তাদের কিনে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।”

তবে, তিনি দাবি করেন, “যে কোনো দলকে টাকা দিয়ে কেনা গেলেও জামায়াত ইসলামীর ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। জামায়াতকে গুপ্ত সংগঠন বলে যারা প্রচারণা চালাচ্ছে, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, জামায়াত ইসলামী একটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক সংগঠন।”