ছাত্রনেতারা যা করছে জানলে গা শিউরে উঠবে: নুর

রাজধানীর কাকরাইলের আইডিবি মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের বর্ধিত সভায় দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, “এনাফ ইজ এনাফ। অনেক হয়েছে, এবার আর নীরব থাকব না।”

তিনি অভিযোগ করেন, গত ছয় মাসে গণহত্যার ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারের কোনো স্বচ্ছতা নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সংবাদ সম্মেলন করে আহতদের অবস্থা প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া, আহত ও নিহতদের ক্ষেত্রে যে বৈষম্য করা হয়েছে, সেটি সংশোধন করা জরুরি।

নুর বলেন, “গত ছয় মাসে বিভিন্ন কমিউনিটির ন্যায্য দাবি-দাওয়াগুলো উপেক্ষিত হয়েছে। কোনো সংস্কার বাস্তবায়নের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। দেশ এখনো পুরনো ধাঁচেই চলছে, অথচ এখন সময় জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার ছাত্রনেতাদের ডিসি অফিসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ এবং কোটি কোটি টাকার লোভ দেখাচ্ছে। এসব সুবিধার মাধ্যমে ছাত্রনেতাদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

নুর অভিযোগ করেন, “বর্তমানে ছাত্র উপদেষ্টারা সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন খাত নিয়ন্ত্রণ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, ছাত্রনেতারা কী ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত। সেটি জানলে গা শিউরে উঠবে। আমরা চাই, ছাত্ররা সৎ ও নীতিবান রাজনীতিতে ফিরে আসুক।”

তিনি আরও বলেন, “দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। বিভিন্ন গোষ্ঠীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেনাপ্রধানও বলেছেন, ‘এনাফ ইজ এনাফ।’ দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে, নয়তো সংকট আরও ঘনীভূত হবে।”

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তারা কোটি কোটি টাকার প্রস্তাব পেয়েছেন, এমনকি সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, “আমরা তখন তা প্রত্যাখ্যান করেছি, কারণ শেখ হাসিনার সরকার রাজনীতিকে কোরবানির পশুর মতো কেনাবেচা করছে। এখনো সেই প্রবণতা চলছে।”


হাজারটা সন্তানের মা আজকে কাঁদবে এবং এই কান্না থামানো কারো পক্ষে সম্ভব না: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধর একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন, যেখানে লেখা ছিল—

সবাই পোস্ট দিচ্ছে,’ইফতারের মূল ইনগ্রিডিয়েন্স হলো পরিবার!’ আমার পরিবারটা তো আর কখনো পরিপূর্ণ হবে না। বিগত বছরগুলোতে আম্মুকে দেখতাম মুগ্ধর খুলনা থেকে আসার জন্য অপেক্ষায় প্রতিটি ইফতারের সময় বলতো কি দিয়ে জানি ইফতার করতেসে খুলনাতে। আর যখন আসতো আম্মুর মুখে একটা হাসি লেগেই থাকতো আর স্পেশাল আইটেম রেডি করতো। মুগ্ধর সামনেই আমরা কতো ক্ষেপাইতাম আম্মুকে এই বলে যে তোমার প্রিয় ছেলে আসছে এখন তো ভালো ভালো রান্না করবাই।

আমি জানি আজকে ইফতারের সময় আম্মু কাদবে, অবশ্যই কাদবে আর বলবে আমার মুগ্ধটা আর বাড়ি ফিরবে না। হাজারটা সন্তানের মা আজকে কাঁদব, এবং এই কান্না থামানো কারো পক্ষে সম্ভব না।