নাহিদ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন: শফিকুল আলম

নতুন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব গ্রহণের লক্ষ্যে পদত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।

এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, “নাহিদ ইসলাম দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী ও প্রখর রাজনৈতিক মন।”

তিনি আরও লেখেন, “মাত্র ২৬ বছর বয়সেই তিনি এক নৃশংস স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে একটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সামনে আরও বহু বছর তিনি দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। আর আল্লাহই ভালো জানেন, একদিন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীও হতে পারেন।”

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ধারণা করা হচ্ছে, এই নতুন দলে আহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে পারেন নাহিদ ইসলাম।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কোটাবিরোধী আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন নাহিদ ইসলাম। এরপর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের জেরে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন।


৭ মাসে অনেক কিছু হয়েছে, এনাফ ইজ এনাফ : সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “গত ৭ মাসে অনেক কিছু ঘটে গেছে, এবার যথেষ্ট।” তিনি দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলার তাগিদ দেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা নিজেরা বিভেদ তৈরি না করি। ঐক্যবদ্ধ থাকাই আমাদের শক্তি। যদি কোনো সমস্যা বা মতপার্থক্য থাকে, সেটা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে।”

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাদের বা বাইরের কোনো শক্তির সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানান সেনাপ্রধান।

তিনি বলেন, “আজকের দিনটি বেদনাদায়ক। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির সেই ভয়াবহ দিনে আমরা ৫৭ জন দক্ষ অফিসারসহ কয়েকজন পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছি। অনেকে সেই ঘটনার ছবি দেখেছেন, কিন্তু আমি নিজেই সেই নৃশংসতার প্রত্যক্ষ সাক্ষী।”

সেনাপ্রধান স্পষ্ট করে বলেন, “একটা বিষয় আমাদের কখনোই ভুলে গেলে চলবে না—এই বর্বরতা কোনো সেনা সদস্য ঘটায়নি।”