প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে দাবি করেছেন যে, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সোহেল তাজের সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইলিয়াস বলেন, তিনি সেনা সূত্র থেকে এ তথ্য পেয়েছেন এবং মনে করেন, সোহেল তাজ যেন আপাতত দেশের বাইরে যেতে না পারেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের নামে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। তবে সেই সময় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন।
এর আগে বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোহেল তাজ জানিয়েছিলেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পরামর্শ গ্রহণ না করে তাকে ধমক দিয়েছিলেন— ‘আমেরিকায় বসে তুমি বেশি বুঝো না, আমি দেখছি।’
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন তিনি ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশের আইজিপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন, পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও কথা বলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী তার পরামর্শ গ্রহণ করেননি বলে তিনি দাবি করেন।
ঘটনার পটভূমি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সোহেল তাজ বলেন, তাকে এই বিদ্রোহের সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন নিরপরাধ ব্যক্তির ওপর এমন অপবাদ দেওয়া উচিত নয়।
বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্যে কী ছিল— এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি এবং দায়িত্ব ছাড়ার পর এসব বিষয়ে জানা বা বোঝার সুযোগও তার হয়নি।
এর আগে ১৫ আগস্ট এক ফেসবুক পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছিলেন, সত্য বলার সময় এসেছে। সত্যই সবচেয়ে বড় শক্তি। পিলখানা হত্যাযজ্ঞের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। একজন মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ তার আত্মসম্মান ও মর্যাদা, আর সত্যই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ও ঢাল।