এসপি-ওসির বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে আসামিকে মুক্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন এ বিষয়ে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন।

তিনি তার পোস্টে দাবি করেন, “বাউফল থানার ওসি ২ লাখ ও এসপি ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে কালাইয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রেশমার ছেলে ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তারের মাত্র ১০ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছেন!”

তিনি আরও লেখেন, “ওসি কামাল হোসেন গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। এমনকি তার বিরুদ্ধে ছাত্র হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।”

এ বিষয়ে জানতে শাকিলের মায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, “শাকিলকে একটি মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে থানায় ডেকে আনা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই।”

এছাড়া, টাকার বিনিময়ে আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অমূলক বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার জাহিদ বলেন, “আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না।”


কারাগার থেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে মুখ খুললেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক

কারান্তরীন সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়, যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন ফারুক খান।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে হাজির করা হয় ফারুক খানকে। শুনানি চলাকালে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার সময় কারাগার থেকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন,

‘কারাগার থেকে স্ট্যাটাস দেওয়া সম্ভব? এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারাগারে বসে ফেসবুক ব্যবহার করার প্রশ্নই আসে না।’

এর আগে, গত বছরের ১৪ অক্টোবর রাতে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।