ফেলানী হ*ত্যার বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্ব ভারতকে ছি ছি করেছে : জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সারা বিশ্বে ভারতের প্রতি নিন্দা ও ঘৃণার জন্ম দিয়েছে। সরকার চাইলে ফেলানী হত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে নিতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করা সম্ভব, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনিটারী গ্রামে ফেলানীর কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে লজ্জিত যে, ১৪ বছর পর ফেলানীর বাড়িতে আসতে পেরেছি। আরও আগে আসা উচিত ছিল। কিন্তু কেন আসতে পারিনি, তা আপনারা ভালো জানেন। ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুধু তার পরিবার নয়, পুরো বাংলাদেশ গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছে। এ ঘটনার জন্য সারা বিশ্ব ভারতের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।”

ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার দাবি করে তিনি বলেন, “আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করেছি, বিবৃতি দিয়েছি এবং বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করেছি। আমরা ন্যায়বিচার চাই। বর্তমান সরকারের উচিত এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া, যদিও এটি একটি অস্থায়ী সরকার।”

তিনি আরও বলেন, “ফেলানীর পরিবার ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন ‘বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ’ (মাসুম)-এর সহযোগিতায় সর্বোচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছে। সেখানে আমাদের সহায়তা প্রয়োজন হলে আমরা তা করব।”

কবর জিয়ারত শেষে জামায়াত আমির ফেলানীর পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি ফেলানীর বাবার হাতে নগদ অর্থ এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার সামগ্রী তুলে দেন। পরে স্থানীয় একটি পথসভায় বক্তব্য দেন।

পথসভায় তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ঐক্যবদ্ধ থেকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


ইসকন কার্ডে ব্যর্থ হয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে ভারত: মাহমুদুর রহমান

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ইসকন কার্ডে ব্যর্থ হয়ে ভারত এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে নতুন গুজব ছড়ানোর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের ঐক্য আমাদের ধরে রাখতে হবে। বিভক্তি আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। ভারত এই ফাটলকে কাজে লাগাতে চায়। আমরা যদি ঐক্য বজায় রাখতে না পারি, তাহলে এ ষড়যন্ত্র সফল হবে।”

জুলাই বিপ্লবের শহীদদের ত্যাগ স্মরণ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, “তাদের আত্মত্যাগ আমাদের ঐক্যের শক্তি জোগায়। আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই।”

রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “পুরাতন দলগুলোর অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই আমি তাদের অনুরোধ করছি, শান্ত হোন। আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন। ঐক্য বিনষ্ট হলে ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।”

সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমাদের আসল লক্ষ্য হলো স্বাধীন সংবাদপত্র তৈরি করা। যে দলই ক্ষমতায় আসুক, দৈনিক আমার দেশ-এর এডিটোরিয়াল নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১১ বছর আমি মাঠের বাইরে ছিলাম। কিন্তু স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই আমার জন্য একটি ধ্রুব দায়িত্ব ছিল এবং থাকবে।”

অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশ-এর চট্টগ্রাম আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি।

এতে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালের কণ্ঠ-এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম এবং গ্লোবাল টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান গোলাম মওলা মুরাদসহ আরও অনেকে।