ইসকন কার্ডে ব্যর্থ হয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে ভারত: মাহমুদুর রহমান

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ইসকন কার্ডে ব্যর্থ হয়ে ভারত এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে নতুন গুজব ছড়ানোর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের ঐক্য আমাদের ধরে রাখতে হবে। বিভক্তি আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। ভারত এই ফাটলকে কাজে লাগাতে চায়। আমরা যদি ঐক্য বজায় রাখতে না পারি, তাহলে এ ষড়যন্ত্র সফল হবে।”

জুলাই বিপ্লবের শহীদদের ত্যাগ স্মরণ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, “তাদের আত্মত্যাগ আমাদের ঐক্যের শক্তি জোগায়। আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই।”

রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “পুরাতন দলগুলোর অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই আমি তাদের অনুরোধ করছি, শান্ত হোন। আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন। ঐক্য বিনষ্ট হলে ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।”

সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমাদের আসল লক্ষ্য হলো স্বাধীন সংবাদপত্র তৈরি করা। যে দলই ক্ষমতায় আসুক, দৈনিক আমার দেশ-এর এডিটোরিয়াল নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১১ বছর আমি মাঠের বাইরে ছিলাম। কিন্তু স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই আমার জন্য একটি ধ্রুব দায়িত্ব ছিল এবং থাকবে।”

অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশ-এর চট্টগ্রাম আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি।

এতে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালের কণ্ঠ-এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম এবং গ্লোবাল টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান গোলাম মওলা মুরাদসহ আরও অনেকে।


ডিসিদের নতুন ক্ষমতা চেয়ে প্রস্তাব: বিশেষ ফোর্স গঠনের দাবি

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের ডিসি সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ডিসিরা প্রায় তিন শতাধিক প্রস্তাব বাস্তবায়নের সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত একটি প্রস্তাব হলো, ডিসিদের অধীনে একটি বিশেষ ডিটেক্টিভ ফোর্স গঠনের দাবি।

মাগুরার ডিসি অহিদুল ইসলাম এই প্রস্তাব তুলে ধরে বলেছেন, ডিসিদের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের সমন্বয়ে একটি বিশেষ বাহিনী থাকলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানসহ নানা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে বিভিন্ন বাহিনীর সহযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিতে সময়ক্ষেপণ হয়, যা এ ধরনের বাহিনী থাকলে দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা যাবে।

ডিসি সম্মেলনে অপরাধ ডেটাবেইস এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ডেটাবেইস সার্ভারে ডিসি ও ইউএনওদের প্রবেশাধিকারের প্রস্তাবও করা হয়েছে। এই প্রস্তাবের পেছনে যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত কমিটির সভাপতি হিসেবে ডিসি ও ইউএনওরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। সরাসরি এই ডেটাবেইসে প্রবেশাধিকার পেলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে।

এছাড়া, ইউএনওদের বাসভবন এবং শারীরিক নিরাপত্তার জন্য অঙ্গীভূত আনসারের বদলে সার্বক্ষণিক ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য নিয়োগের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনে সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ডিসিদের মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। সাধারণত এই সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে ডিসিদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা রাখা হয়। তবে এ বছর জাতীয় সংসদ ও স্পিকার না থাকায় এই আয়োজনগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।