ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আইনি নোটিশ, প্রকাশ হলো কারণ

মেডিকেল ভর্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটার ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ আরও দুই উপদেষ্টাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য জায়েদ বিন নাসের মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ডাকযোগে এবং সংশ্লিষ্টদের অফিশিয়াল ই-মেইলে এ নোটিশ পাঠান।

ড. ইউনূসের পাশাপাশি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদও নোটিশের আওতায় আছেন।

নোটিশে উল্লেখ:
নোটিশে বলা হয়েছে, “চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে আগের সরকারের আমলে আদালত কিছু যৌক্তিক রায় দিয়েছেন। তবে, ভর্তি পরীক্ষা মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতা হওয়ায় এখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটার মতো ব্যবস্থা থাকা বাংলাদেশের মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”

নোটিশে আরও বলা হয়, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য সীমিত সুবিধা থাকা উচিত, কিন্তু মেধার মূল্যায়নে কোনো ধরনের কোটার সুযোগ থাকা ন্যায্য নয়। এমন সিদ্ধান্ত সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের নীতির পরিপন্থী।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “মেডিকেল ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিধান রাষ্ট্রের নীতিগত এবং আইনি ভিত্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং শিক্ষা উপদেষ্টার ওপর এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব বর্তায়। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে একটি কমিশন গঠন করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আইনি নোটিশের বিষয়ে আইনজীবী জায়েদ বিন নাসের বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্ন দেখছে। এতগুলো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার পরও যদি কোটার মতো বৈষম্য টিকে থাকে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। কোটাব্যবস্থা যাচাই ও সংশোধনের জন্য একটি কমিশন গঠন জরুরি।”

নোটিশটি পাঠানোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের প্রতি কোটাব্যবস্থা পুনর্বিন্যাসের আহ্বান জানানো হয়েছে, যা দেশের সামগ্রিক মেধাভিত্তিক প্রক্রিয়ার উন্নয়নে সহায়ক হবে।

Scroll to Top