জামায়াত নেতার মাছ লুটের পর বিক্রি, কপাল পুড়লো সেই বিএনপির দুই নেতার

যশোরের মনিরামপুরে জামায়াত নেতার আলমসাধুভর্তি মাছ লুট করে বিক্রির অভিযোগে দুই বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (২১ জানুয়ারি) জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বহিষ্কৃত দুই নেতা হলেন নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মাহাবুবুর রহমান এবং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য রাজিব। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, তারা কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু জানান, দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা বিএনপির সুপারিশের ভিত্তিতে দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য আমরা কোনো ধরনের ছাড় দিচ্ছি না। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

গত শনিবার মাছ লুটের অভিযোগে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, বহিষ্কৃত দুই নেতা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের মাছ ভেবেই আলমসাধুভর্তি মাছ লুট করেন। পরবর্তী সময়ে মাছগুলো বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন।

স্থানীয় রাজনীতিকরা জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ইউনিয়ন বিএনপি সক্রিয় হয়। নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মাহাবুব ও রাজিবকে মাছ লুটের সঙ্গে জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে বিক্রির টাকা উদ্ধার করে মালিককে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

Scroll to Top