আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনামলে গোগনগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ক্ষমতা উপভোগ করা কামাল হোসেন এখন জার্সি বদলে বিএনপির নেতায় পরিণত হয়েছেন। এক সময় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এমপির সুপারিশে পুরাতন সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য পদও লাভ করেছিলেন।
কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সাথে সাথেই কামাল হোসেন তার অবস্থান বদল করে বিএনপির পক্ষ অবলম্বন করেছেন। সম্প্রতি মহানগর বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের উদ্যোগে আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি বিএনপির মঞ্চে ওঠেন এবং মিছিল নিয়ে যোগ দেন। সেখানে তোলা সেলফি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে তিনি আলোচনায় আসেন।
জানা গেছে, কামাল হোসেনের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এক সময় তিনিও বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রবাসে চলে যান। দেশে ফিরে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতীকে দুইবার নির্বাচন করেও ব্যর্থ হন।
গোগনগর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন প্রবাসে চলে গেলে তার শূন্য পদে অধিষ্ঠিত হন কামাল হোসেন। এই পদে থেকেই তিনি সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেডে নিয়মিত মিটিংয়ে অংশ নেন।
কামাল হোসেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ফজর আলীর বিরোধী শিবিরে থাকলেও পরবর্তীতে আপোস করে তার সাথে সম্পর্ক মিটিয়ে নেন। এতে তিনি এলাকায় রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের পতনের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এমপি সেলিম ওসমানের অবস্থানও এখনও অজানা।
এমন পরিস্থিতিতে কামাল হোসেন বিএনপির সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হয়ে মাজহারুল ইসলাম জোসেফের হাত ধরে বিএনপির নেতায় পরিণত হন।
এ বিষয়ে কামাল হোসেনের বক্তব্য জানতে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।