Monday , January 13 2025
Breaking News
Home / Countrywide / হাসিনা ভারতের জন্য অনেক করেছেন, তাঁকে আমৃত্যু থাকতে দেওয়া উচিত

হাসিনা ভারতের জন্য অনেক করেছেন, তাঁকে আমৃত্যু থাকতে দেওয়া উচিত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। প্রয়োজনে তাঁকে আমৃত্যু ভারতে থাকার সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক কূটনীতিক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা মণি শংকর আইয়ার। ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

শনিবার রাতে এক অনুষ্ঠানে মণি শংকর আইয়ার বলেন, শেখ হাসিনাকে যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়া উচিত। এমনকি তা সারা জীবন হলেও তাঁকে অতিথি হিসেবে রাখার পক্ষে তিনি মত দেন। গত মাসে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

কলকাতায় ১৬তম আপিজয় সাহিত্য উৎসবে পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইয়ার বলেন, ভারতের উচিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সরাসরি মন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনার পথ খোলা রাখা। শেখ হাসিনার আশ্রয়প্রাপ্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা ভারতের জন্য অসামান্য কাজ করেছেন। আমাদের তাঁকে সম্মানের সঙ্গে যত দিন প্রয়োজন আশ্রয় দেওয়া উচিত।”

৭৭ বছর বয়সী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার বিষয়ে আইয়ার বলেন, বেশিরভাগ হামলা রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে হয়েছে। তিনি জানান, শেখ হাসিনার সমর্থকদের বিরুদ্ধে এমন হামলার ঘটনা রয়েছে।

পাকিস্তান প্রসঙ্গে মণি শংকর আইয়ার বলেন, “পাকিস্তানি মানুষ ভারতীয়দের মতোই, ভাগ্যের পরিণতিতে তারা আলাদা দেশে পরিণত হয়েছে।” মোদির সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সাহস থাকলেও পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসার সাহস নেই এ সরকারের।”

এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রশংসা করে আইয়ার জানান, মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা এগিয়েছিল। তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনার পরামর্শ দেন তিনি।

About Nasimul Islam

Check Also

হাসিনার দেশে ফেরার ঘোষণা ১৯ জানুয়ারি?

বাংলাদেশে আন্দোলনের মুখে গত আগস্টে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ১৯ জানুয়ারি দেশে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *