বাংলাদেশি লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় ফ্যাসিস্ট বলে অভিহিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের কূটনৈতিক পাসপোর্টের স্ট্যাটাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একইসাথে হাসিনাকন্যাকে দৌড়ের উপর রেখে ভারতকে বার্তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক পোস্টে পিনাকী এই আহ্বান জানান। ওই পোস্টে অপকর্মের পুরস্কার হিসেবে হাসিনা পূর্বাচলে যাদের সরকারি প্লট বরাদ্দ দিয়েছিল এমন কিছু ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে দ্রুত তা বাতিল করার দাবি জানান তিনি।
পিনাকীর বক্তব্যের মূল পয়েন্টগুলো:
১। পুতুলের ব্যাপারটা নিয়ে WHO’র সাথে কতদূর কী হইল, আদৌ আগাইল কিনা, কিছুই বুঝলাম না। পুতুলের ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টরে জয় বাংলা করা হইসে কিনা, না হইলে কেনো, সেটাও জানা দরকার। পুতুলরে দৌড়ের উপ্রে রাইখা ইন্ডিয়া এবং Tulip siblings রে মেসেজ দিতে হবে।
২। পাবলিকে শুধু জানে, খুনী হাসিনা পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট হাতাইসে। কিন্তু পাবলিকের হুঁশ নাই যেই বিষয়ে, সেইটা হইল, ২০১৭ সাল থেইকা ২০১৯ সাল পর্যন্ত যারা যারাই Prime Minister’s Office (PMO)-তে পোস্টিংয়ে ছিল (উপসচিব/পরিচালক, যুগ্মসচিব/মহাপরিচালক, অতি: সচিব, সচিব, সিনিয়র সচিব এবং মুখ্যসচিব)—-প্রতিটা পর্যায়ের প্রত্যেকে পূর্বাচলে কেউ কেউ ৫ কাঠা করে, আবার কেউ কেউ ১০ কাঠা করে জমি পাইসে পুরা মাগনা, এবং সবাই রেজিস্ট্রিও করে নিসে। ২০১৮ এর ইলেকশনের প্রাইজ হিসেবে। সোহরাওয়ার্দীর বডিগার্ডের জয় বাংলা হইয়া যাওনের মামলার রায় দিসিল যেই গোলাম রসূল, তার তিন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই (সবাই এডমিন ক্যাঠার)—-প্রত্যেকে ১০ কাঠা কইরা পূর্বাচলে প্লট পাইসে মাগনা। সবার সব কয়টা এলটমেন্টরে জয় বাংলা করতে হবে এক্ষুণি। এবং বেআইনীভাবে প্লট আআত্মসাৎ করার দায়ে সবকয়টারে Public Demand Recovery Act এর আওতায় বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
পিনাকী আরও বলেন, এই বরাদ্দ ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমগুলো জনস্বার্থবিরোধী এবং এসবের দ্রুত তদন্ত ও প্রতিকার করা প্রয়োজন।