সম্প্রতি অনলাইন সংবাদমাধ্যম ডেইলি বাংলাদেশের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির ব্যক্তিগত বিকাশ অ্যাকাউন্টে (০১৯৯৫৮৮৭১**) আগস্ট থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে ৬১ লাখ ৩২০ টাকা লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে খোলা আরেকটি অ্যাকাউন্টে (০১৭০৯১৯৭৩**) লেনদেন হয়েছে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৩৫ টাকা। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে এই তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানারের মতে, উল্লিখিত সময়ে রাফির বিকাশ অ্যাকাউন্টে মোট লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩২ হাজার ৬০২ টাকা। তার মায়ের অ্যাকাউন্টে কোনো লেনদেনের রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবর “বাংলাদেশ আর্কাইভ” নামের একটি ফেসবুক পেজে একই ধরনের দাবি করা একটি পোস্টের সন্ধান পাওয়া যায়। পোস্টে The Bengal Telegram নামের একটি তথাকথিত পত্রিকার স্ক্রিনশট যুক্ত করা হয়েছে, তবে রিউমর স্ক্যানার এই নামে কোনো পত্রিকার অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি।
খান তালাত মাহমুদ রাফি গত বছরের ২৫ অক্টোবর একটি ফেসবুক লাইভে অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন। তিনি তার বিকাশ অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট শেয়ার করেন, যেখানে দেখা যায়, ২৮ এপ্রিল থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত তার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে মাত্র ৫৮ হাজার ৬৬১ টাকা।
বিকাশের শর্ত অনুযায়ী, একজন গ্রাহক মাসে সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ টাকা লেনদেন করতে পারেন এবং প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা উত্তোলন সম্ভব। অথচ প্রতিবেদনে দুই মাসে রাফির অ্যাকাউন্টে ৬১ লাখ টাকা লেনদেনের দাবি শর্তবিরোধী।
রাফির বিকাশ অ্যাকাউন্টে ১ আগস্টে স্থিতি ছিল ২ হাজার ৪ টাকা। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তার অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩২ হাজার ৬০২ টাকা। ১ অক্টোবর স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৭ টাকা। অন্যদিকে, তার মায়ের অ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে মাত্র ২০ টাকা।
খান তালাত মাহমুদ রাফি এবং তার মায়ের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ৩২ কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে যে এই অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হয়েছে।