বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরে তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগমও রয়েছেন। দেশ কিংবা বিদেশ, সব সময়ই খালেদা জিয়ার সঙ্গী হিসেবে ফাতেমা থাকেন। এমনকি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকার সময়ও তিনি খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন।
ফাতেমা বেগম প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কাজ করছেন। খালেদা জিয়ার দৈনন্দিন ব্যক্তিগত কাজগুলোতে তার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করেন। ২০১৫ সালে গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে টানা ৯২ দিন অবস্থানের সময়ও ফাতেমা ছিলেন তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। এমনকি সে সময় ফাতেমার একমাত্র ছেলে মাঝেমধ্যে গুলশান কার্যালয়ে এসে মায়ের সঙ্গে দেখা করতেন।
২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর, যখন খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয় থেকে বের হতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল, তখনও পেছনে পতাকা হাতে ফাতেমার উপস্থিতি সবার নজর কাড়ে।
এবার উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে। গত সোমবার রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় পৌঁছায়। যুক্তরাজ্যে পৌঁছে খালেদা জিয়া ভর্তি হবেন ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ।
এই সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন তার চিকিৎসক দল এবং পরিবারের সদস্যরাও। মেডিকেল বোর্ডের ৬ সদস্য—অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এফএম সিদ্দিক, অধ্যাপক নরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এবং ডা. মোহাম্মদ আল মামুন—সঙ্গে রয়েছেন। এছাড়াও সফরে আছেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
খালেদা জিয়ার এই সফরে ফাতেমার মতো নির্ভরযোগ্য সঙ্গী থাকায় তার দৈনন্দিন কাজে আরও সহজতা আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।